ব্যয়সঙ্কোচের দিশা দেখালেন অর্থমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রমশই হ্রাস পাচ্ছে টাকার বিনিময় মূল্য। শুক্রবার সকালে আরও ৩৫ পয়সা বেড়ে ডলার পিছু টাকার দাম দাঁড়িয়েছে ৫৪ টাকা ৮২ পয়সায়। টাকার মূল্যহ্রাসের অনিবার্য নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে শেয়ার বাজারেও। এমতাবস্থায় ব্যয় সঙ্কোচের পথে হেঁটেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে চাইছে কেন্দ্র।
আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রমশই হ্রাস পাচ্ছে টাকার বিনিময় মূল্য। শুক্রবার সকালে আরও ৩৫ পয়সা বেড়ে ডলার পিছু টাকার দাম দাঁড়িয়েছে ৫৪ টাকা ৮২ পয়সায়। টাকার মূল্যহ্রাসের অনিবার্য নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে শেয়ার বাজারেও। ইউরোজোনের সঙ্কটের অভিঘাত এভাবে জাতীয় অর্থনীতিতে পড়ায় সঙ্গত কারণেই যথেষ্ট বিড়ম্বনায় ইউপিএ সরকার। এমতাবস্থায় ব্যয় সঙ্কোচের পথে হেঁটেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে চাইছে কেন্দ্র। এদিন প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মুখেই শোনা গিয়েছে সেই কৃচ্ছ্বসাধনের দিশানির্দেশ। বিভিন্ন সরকারি দফতরে নতুন গাড়ি কেনা থেকে শুরু করে পাঁচতারা মিটিং, ওয়ার্কশপের আয়োজন- অর্থমন্ত্রীর দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে অনেক কিছুই।
২০০৯ সালে মার্কিন মুলুকে `সাব প্রাইম` সঙ্কটের সময় মন্দাক্রান্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে আমলা, সাংসদ, মন্ত্রীদের বল্গাহীন বিদেশ সফরে রাশ টেনেছিল মনমোহন সরকার। এবারও একই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। সরকারি অফিসারদের বলা হয়েছে বিমানের `ইকনমি ক্লাস`-এ যাতায়াত করতে। তবে প্রণব মুখোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়েছেন, আর্থিক বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখার জন্য সরকার কিছু কড়া সিদ্ধান্ত নিলেও আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে আর্থিক মন্দার মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার ব্যয়সঙ্কোচের পথে হাঁটলেও ২০১০ সালের মার্চ মাসে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় কৃচ্ছ্বসাধনের প্রক্রিয়ায় ইতি টানা হয়।