পুলিশ কেমন কাজ করছে? পরখ করতে ছদ্মবেশে থানায় খোদ কমিশনার
পুনের পিম্পরি চিঞ্চওয়াড়ের পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ প্রকাশের অবাক কীর্তি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পুরোনো দিনের শাসকরা মাঝে মধ্য়েই ছদ্মবেশে দেশ ভ্রমণে বেরোতেন। তাঁদের শাসনে রাজ্য় কেমন চলছে, তা দেখতেই মূলত তাঁরা ছদ্মবেশ নিতেন। তবে শুধু পুরোনো দিনে নয়, এখনও এমন অনেক প্রশাসক রয়েছেন যাঁরা সেই পুরোনো পন্থাতে বিশ্বাস করেন। যেমন পুনের পিম্পরি চিঞ্চওয়াড়ের পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ প্রকাশ। তাঁর দায়িত্বে থাকা থানাগুলিতে কতটা সুষ্ঠু ভাবে কাজকর্ম চলছে, তা দেখতে এবার এক মুসলিম পাঠানের ছদ্মবেশে নিলেন তিনি। বিভিন্ন থানায় গিয়ে সরেজমিনে খতিয়ে দেখলেন পরিস্থিতি।
আরও পড়ুন: BJP-র পরাজয়ে ব্য়ঙ্গাত্মক পোস্ট! বন্ধ কবি'র ফেসবুক অ্য়াকাউন্ট
তাঁর পরনে ছিল কুর্তা-পাজামা। মাথায় ফেজ টুপি। এই কাজে তাঁকে সাহায্য করেছেন স্ত্রী প্রেরণা কাট্টে। যিনি নিজেই পিম্পরি চিঞ্চওয়াড়েরই অ্য়াসিটেন্ট পুলিশ কমিশনার পদে কর্মরত। স্বামী-স্ত্রীর যুগলবন্দি পরখ করল শহরের আইনকানুন ব্য়বস্থা। জানা গিয়েছে, ছদ্মবেশে শহরের ৩টি থানায় তাঁরা অভিযোগ দায়ের করতে যান। যেমন বাবধন থানায় একটি শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন। আবার ওয়াকাড় থানায় ছিনতাইয়ের অভিযোগ দায়ের করেন। কৃষ্ণ প্রকাশ জানান, দুটি অভিযোগের ক্ষেত্রেই সঙ্গে সঙ্গে ব্য়বস্থা নেয় পুলিশ।
আরও পড়ুন: সোনওয়াল নন, এবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী পদে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা
তবে পিম্পরি চিঞ্চওয়াড়ে থানায় তাঁদের অসহযোগিতার মুখে পড়তে হয়। সেখানে একজন অ্য়াম্বুলেন্স চালকের বিরুদ্ধে তাঁরা অভিযোগ জানান। অভিযুক্ত চালক করোনা রোগীর পরিবারের থেকে বেশি ভাড়া নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। কৃষ্ণ প্রকাশের অভিযোগ, কার্যত তাঁদের কথা না শুনেই থানার অফিসার তাঁদের স্থানীয় পুলিশ চৌকিতে যেতে বলেন। জানা গিয়েছে, এরপরই নিজের পরিচয় প্রকাশ্যে আনেন কৃষ্ণ প্রকাশ। ডিভিশনাল অ্যাসিটেন্ট পুলিশ কমিশনারকে পিম্পরি চিঞ্চওয়াড়ে থানার অভিযুক্ত অফিসারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। তাঁর নির্দেশ মতোই, অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে শোকজ নোটিসও পাঠান হয়।