Assam-Meghalaya Border Firing: পুলিসের গুলিতে নিহত ৬, অগ্নিগর্ভ মেঘালয়ের ৭ জেলায় বন্ধ ইন্টারনেট
মুকরোর ওই ঘটনার কথা মাথায় রেখে এক সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে অসম সরকার। কমিটির প্রধান হাইকোর্টের এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারক। কোন পরিস্থিতিতে গুলিচালনা তা তদন্ত করে ৩ মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পুলিসের গুলিতে অসম-মেঘালয় সীমান্ত ৫ গ্রামবাসী-সহ ৬ জনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল মেঘালয়ের এক বড় অংশ। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সতর্কতা হিসেবে মেঘালয়ের ৭ জেলায় মঙ্গলবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট। যে গ্রামে ওই গুলি চালনার ঘটনা ঘটেছে সেই মুকরো গ্রামে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিস বাহিনী। যে ৭ জেলার প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে ও মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সেগুলি হল পশ্চিম জয়ন্তীয়া হিলস, পূর্ব জয়ন্তীয়া হিলস, পূর্ব খাসি হিলস, রি ভৈ, পূর্ব-পশ্চিম খাসি হিলস, পশ্চিম খাসি হিলস ও দক্ষিণ পশ্চিম খাসি হিলস।
আরও পড়ুন-কলকাতায় ডাক্তার দেখাতে এসে খুন? এন্টালির রেল আবাসনে বিহারের যুবতীর রক্তাক্ত দেহ!
ঘটনা নিয়ে মেঘালয়ের ডিজি এল আর বিষ্ণোই সংবাদমাধ্যমে বলেন, গুলি চালনার ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন বনকর্মী ও বাকীরা পশ্চিম জয়ন্তীয়া জেলার বাসিন্দা। অসম-মেঘালয় সীমান্তের মুকরো গ্রামে ওই গুলি চালনার ঘটনা ঘটে।
কী থেকে এতবড় কাণ্ড?
পশ্চিম কার্ব আলং জেলার পুলিস সুপার ইমদাদ আলি সংবাদমাধ্যমে জানান, অসম বন দফতরের কর্মীরা একটি ট্রাক আটক করার চেষ্টা করে। মুকরো গ্রামে থেকে ওই ট্রাকে চাপিয়ে কাঠ চোরাচালান করা হচ্ছিল। রাত তিনটে নাগাদ ওই ট্রাকটিকে বনকর্মীরা আটকানোর চেষ্টা করলে সেই প্রবল গতিতে পালিয়ে যায়। ট্রাকটিকে থামাতে পুলিস বনকর্মীরা গুলি চালায়। টায়ার ফেটে গিয়ে সেটি থেমে য়ায়। তারপরই আটক করা হয় ৩ জনকে। কিন্তু ট্রাকে থাকা অন্যরা পালিয়ে যেতে সমর্থ হয়। এরপর বনকর্মীর নিকটবর্তী থানা থেকে বাহিনী চেয়ে পাঠায়।
এদিকে, পুলিসের দাবি থানা থেকে পুলিসের প্রথম টিমটি ঘটনাস্থলে আসতেই এলাকার মানুষজন অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে পুলিসকে ঘেরাও করে। তারা দাবি করে, আটক ৩ জনকে ছেড়ে দিতে হবে। তারা জোর করে ধৃতদের ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে গুলি চালায় পুলিস। এতেই এক বনকর্মী সহ এলাকার ৬ জনের মৃত্যু হয়। ওই খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজনা ছড়াতে শুরু করেছে আসপাশের জেলাগুলিতে।
মুকরোর ওই ঘটনার কথা মাথায় রেখে এক সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে অসম সরকার। কমিটির প্রধান হাইকোর্টের এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারক। কোন পরিস্থিতিতে গুলিচালনা তা তদন্ত করে ৩ মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি মৃতদের ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে অসম সরকার। একইসঙ্গে ঘটনার তদন্ত রিপোর্টে কেন্দ্র সরকারের কাছে জমা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।