ব্রু আদিবাসীদের ফেরানোর বিরোধিতায় রণক্ষেত্র উত্তর ত্রিপুরা, পুলিসের গুলিতে হত ১
১৯৯৭ সালে ত্রিপুরায় আদিবাসী ও অ-আদাবিসীদের মধ্যে সংঘর্ষে বহু ব্রু আদিবাসী মিজোরামে পালিয়ে যায়
নিজস্ব প্রতিবেদন: ব্রু আদিবাসীদের ত্রিপুরায় পুনর্বাসন দেওয়ার প্রতিবাদে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল উত্তর ত্রিপুরার পানিসাগর। উত্তেজিত জনতাকে আয়ত্বে আনতে গুলি চালাল পুলিস। তাতেই নিহত ১ যুবক। এলাকার পরিস্থিতি এতটাই উত্তেজক যে এলাকায় ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের জওয়ানদের মেতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-শুভেন্দু-সৌগত সহ দলে আসছেন ৫ TMC সাংসদ : অর্জুন, মরে যাব তবু BJP-তে না : সৌগত
সম্প্রতি কেন্দ্র সরকার ঘোষণা করেছে মিজোরামের ৩৫,০০০ ব্রু আদিবাসীকে পানিসগর এললাকায় পুনর্বাসন দেওয়া হবে। তারই প্রতিবাদে বিক্ষোভে নেমেছেন এলাকার মানুষজন। শনিবার বিক্ষোভকারীরা আগরতলা থেকে উত্তরে ওই জায়গায় ৮ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। থমকে যায় যান চলাচল। রাস্তা থেকে তাদের সরাতে গেল পুলিস-জনতার খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। পরিস্থিতি আয়ত্বে আনতে পুলিস গুলি চালালে শ্রীকান্ত দাস নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়।
#Tripura: Demonstrators protesting against the rehabilitation of Bru refugees from Mizoram vandalise, and set fire to vehicles in Dolubari village of North Tripura district https://t.co/b3VOknpcca pic.twitter.com/TXe6tr2czU
— ANI (@ANI) November 21, 2020
উল্লেখ্য, আদিবাসীদের পুনর্বাসনের প্রতিবাদে সোমবার থেকেই পানিসাগর এলাকা বিভিন্ন সরকারি ভবন ও বাজারের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ছাত্রছাত্রী, মহিলা-সহ এলাকার লোকজন। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার ওই এলাকায় আদিবাসীরা ২৬ অ-আদিবাসী ঘরে হমালা চালায় বলে অভিয়োগ। তাতেই এলাকার মানুষের ক্ষোভ চরমে ওঠে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে এলাকা থেকে বহু লোক অন্যত্র সরে যান।
#WATCH Locals protest against the rehabilitation of Bru refugees from Mizoram, in Dolubari village of North Tripura district, Tripura pic.twitter.com/CSz0cyH56C
— ANI (@ANI) November 21, 2020
আরও পড়ুন-মেশিন ত্রুটিতে বিস্ফোরণ তত্ত্ব থেকে সরে আসল ফরেনসিক টিম, সুজাপুর কাণ্ডে অব্যাহত ধোঁয়াশা
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে ত্রিপুরায় আদিবাসী ও অ-আদাবিসীদের মধ্যে সংঘর্ষে বহু ব্রু আদিবাসী মিজোরামে পালিয়ে যায়। মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাদের ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। তাতেই শুরু হয়েছে গন্ডগোল।