ক্ষমতায় ফেরা নিশ্চিত! ওড়িশায় সার কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে ইঙ্গিত মোদীর
আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি কিছুটা ধাক্কা খেতে পারে বলে রাজৈনিক মহলের একাংশের দাবি। তবে ফের ক্ষমতায় আসা নিশ্চিত বলেই মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওড়িশার তালচেরে সেকথা পরক্ষে জোর দিয়েই বললেন প্রধানমন্ত্রী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি কিছুটা ধাক্কা খেতে পারে বলে রাজৈনিক মহলের একাংশের দাবি। তবে ফের ক্ষমতায় আসা নিশ্চিত বলেই মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওড়িশার তালচেরে সেকথা পরক্ষে জোর দিয়েই বললেন প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার তালচেরে একটি সার কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন নরেন্দ্র মোদী। ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিন বছর পরে তিনি ওই কারখানার উদ্বোধনে আসবেন। অর্থাত ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ক্ষমতায় ফেরা সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করেন মোদী।
আরও পড়ুন-Asia Cup 2018 : অনন্য রেকর্ড! গোঁফে তা দিয়ে সচিন, দ্রাবিড়, গাওয়াস্করের পাশ
এদিন তালচেরে ভারতের প্রথম কোল গ্যাসিফিকেশন বেসড ইউরিয়া ও অ্যামোনিয়া কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদী বলেন, ‘যখনই কোনও প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য যাই সেখানেই জিজ্ঞাসা করি কবে প্রকল্পের উদ্বোধন হবে। এখানে প্রকল্প আধিকারিকরা বলছেন গোটা প্রকল্প শেষ হতে ৩৬ মাস সময় লাগবে। ওড়িশার মানুষকে কথা দিচ্ছি ৩৬ মাস পরে আমি নিজে এসে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করব।‘ প্রসঙ্গত, প্রকল্প আধিকারিক ও জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনবার একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। তিনি বলেন, রাজ্যের মানুষের বহুদিনের দাবি ছিল এই সার কারখানা। রাজ্যে প্রতি হেক্টরে ৬৮ কেজি সারের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে রাজ্যকে নির্ভর করতে হয় অন্ধ্র, ইউপি ও মহারাষ্ট্রের ওপরে। এতে সার পেতে বেশ দেরিও হয়। এবার তা শেষ হবে।
আরও পড়ুন-কাঁধে হাত, ঘনিষ্ঠভাবে ছবি, উল্টোডাঙার গৃহবধূ খুনে নজরে এই পুরুষবন্ধু!
রাজ্য স্বচ্ছ ভারত অভিযান সফল করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। এখনও ওড়িশায় মানুষ প্রকাশ্যে মলত্যাগ করেন। ঘরে ঘরে টয়লেট তৈরি হয়নি। নবীন পট্টনায়ককে অনুরোধ স্বচ্ছ ভারত অভিযান এ রাজ্যেও সফল করুন। মোদী আরও বলেন, কোনও গরিব পরিবারের কোনও সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারটি দেনায় ডুবে যায়। সরকার এর জন্য বছরে ৫ লাখ টাকা দিচ্ছে। ওড়িশারও এর সুযোগ নেওয়া উচিত।