হুদহুদ আসছে ধেয়ে, কাল দুপুরে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা, ২ লক্ষ মানুষকে সরানো হল নিরাপদ স্থানে
ধেয়ে আসছে হুদহুদ। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় প্রহর গুণছে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশা। হুদহুদের পরোক্ষ প্রভাব পড়তে চলেছে এরাজ্যেও। সেই কারণে প্রশাসনের তরফে নেওয়া হয়েছে আগাম সতর্কতা। নবান্নে খোলা হল বিশেষ কন্ট্রোল রুম।
ওয়েব ডেস্ক: ধেয়ে আসছে হুদহুদ। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় প্রহর গুণছে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশা। হুদহুদের পরোক্ষ প্রভাব পড়তে চলেছে এরাজ্যেও। সেই কারণে প্রশাসনের তরফে নেওয়া হয়েছে আগাম সতর্কতা। নবান্নে খোলা হল বিশেষ কন্ট্রোল রুম।
রবিবার দুপুরের মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম এবং ওড়িশার গোপালপুরের মাঝামাঝি এলাকায় একশো আশি কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়তে চলেছে হুদহুদ। হুদহুদের প্রভাব থেকে রেহাই পাবে না পশ্চিমবঙ্গও। এর প্রভাবে আগামী আটচল্লিশ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ব্যাপক বৃষ্টি হতে পারে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতেও।
হুদহুদ মোকাবিলায় বিশেষ কন্ট্রোল রুম খুলেছে রাজ্য সরকার। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বিশেষ এই কন্ট্রোল রুম। শনিবার নবান্নে বৈঠক করেন পুরসভা, কেএমডিএ, সেচ দফতর, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর সহ একাধিক দফতরের আধিকারকেরা। ওই বৈঠকেই কন্ট্রোলরুম খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৃষ্টির জেরে কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলি যাতে জলমগ্ন হয়ে না হয়ে পড়ে সে জন্য বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে নিকাশি, জঞ্জাল অপসারণ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে। কলকাতা পুরসভার পাম্পিং বিভাগের কর্মীদের ছুটি বাতিল হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় প্রচুর পরিমান ত্রিপল ও ত্রাণ সামগ্রী মজুত রাখা হয়েছে। ত্রাণ সামগ্রীর একাংশ ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে।