আর নয় যোজনা কমিশন, স্বাধীনতা দিবসে সাফ জানালেন নরেন্দ্র মোদী
যোজনা কমিশন আর নয়। স্বাধীনতা দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণে ঘোষণা করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশের উন্নতিতে যোজনা কমিশন আর প্রাসঙ্গিক নয়।
নতুন দিল্লি: যোজনা কমিশন আর নয়। স্বাধীনতা দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণে ঘোষণা করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশের উন্নতিতে যোজনা কমিশন আর প্রাসঙ্গিক নয়।
নরেন্দ্র মোদী একটি ঘোষণায় শেষ হল চৌষট্টি বছরের একটি প্রতিষ্ঠানের পথচলা। সংবিধানের নির্দেশিকা মেনে উনিশশো পঞ্চাশের পনেরোই মার্চ যোজনা কমিশন তৈরি করেছিলেন প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। সংসদে পাস করা কোনও আইনের বলে নয়, যোজনা কমিশন তৈরি হয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তে।
যোজনা কমিশনের মূল কাজ, দেশের প্রাকৃতিক, আর্থিক ও মানব সম্পদের মূল্যায়ন করে তা বণ্টনের রূপরেখা তৈরি করা। সোভিয়েত রাশিয়ার উন্নয়ন মডেল অনুসরণ করেই, যোজনা কমিশনের আওতায় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা তৈরি করেছিলেন জওহরলাল নেহরু। উনিশশো একান্ন সালে কার্যকর হয় প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা। তারপর উনিশশো ছেষট্টি থেকে উনসত্তর এবং নব্বই থেকে বিরানব্বই, এই দুটি সময়কাল বাদ দিয়ে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করে গিয়েছে যোজনা কমিশন। কেন্দ্রীয় বাজেটও তৈরি হত যোজনা কমিশনের পরামর্শকে সামনে রেখেই। যদিও, নয়ের দশকে লাইসেন্স রাজের অবলুপ্তি এবং উদার অর্থনীতির প্রচলনের পর যোজনা কমিশনের গুরুত্ব কমতে থাকে।
দুহাজার তেরোয় যোজনা কমিশনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রথম প্রশ্ন তোলেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর অভিযোগ ছিল,উন্নত বা পিছিয়ে থাকা--সব রাজ্যের জন্যই একইরকম উন্নয়ন মডেল দিচ্ছে যোজনা কমিশন। যা বাস্তবে অচল। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, আরও বাস্তবমুখী কোনও সংস্থা গঠনের কথা ভাবছে কেন্দ্র।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর, যোজনা কমিশনের অবলুপ্তি ঘটিয়ে আট সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরির কথা ভাবছেন মোদী।