এবার সাজানো সংঘর্ষের দায়ে ভাবি সেনাপ্রধান

এতদিন পর্যন্ত বিতর্ক সীমাবদ্ধ ছিল `বর্তমান`-কে ঘিরে। এবার প্রশ্ন উঠল `ভবিষ্যত্‍`-এর অতীত নিয়ে।

Updated By: Apr 5, 2012, 10:04 AM IST

এতদিন পর্যন্ত বিতর্ক সীমাবদ্ধ ছিল `বর্তমান`-কে ঘিরে। এবার প্রশ্ন উঠল `ভবিষ্যত্‍`-এর অতীত নিয়ে।
সেনাপ্রধান বিজয়কুমার সিংয়ের উত্তরসূরি হিসেবে মনোনীত লেফটেন্যান্ট জেনারেল বিক্রম সিংয়ের বিরুদ্ধে এবার ভুয়ো সংঘর্ষে হত্যার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, ভারতীয় ফৌজের ইস্টার্ন কম্যান্ডের বর্তমান কম্যান্ডিং অফিসার জম্মু ও কাশ্মীরে রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের একজন ব্রিগেডিয়ার হিসেবে কর্মরত অবস্থায় এক সাধারণ গ্রামবাসীকে জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করে ভুয়ো সংঘর্ষে খুন করিয়েছিলেন। ২০০১ সালের মার্চ মাসে অনন্তনাগ জেলার এক প্রত্যন্ত গ্রামে আবদুল্লা ভাট ওই ৬০ বছরের বৃদ্ধকে সাজানো সংঘর্ষে খুন করে বিক্রম সিংয়ের কমান্ডে থাকা ১ নম্বর সেক্টরের রাষ্ট্রীয় রাইফেলস-এর কয়েকজন জওয়ান ও অফিসার। নিহত আবদুল্লাকে বিদেশি সন্ত্রাসবাদী হিসেবে চিহ্নিত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট পাঠিয়েছিলেন বিক্রম সিং। আর তার জেরে সেনা পদকও জুটেছিল এই `দাগি` সেনাকর্তার।
বুধবার ভুয়ো সংঘর্ষের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে অভিযুক্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল বিক্রম সিং`কে পরবর্তী সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ করার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। আবেদনকারীদের তালিকায় রয়েছেন ভারতীয় নৌবাহিনীর দুই প্রাক্তন অ্যাডমিরাল লক্ষ্মীনারায়ণ রামদাস এবং বিষ্ণু ভাগবত। শুধু কাশ্মীরের মাটিতে `ফেক এনকাউন্টার` সংগঠিত করাই নয়, শীর্ষ আদালতে দায়ের করা মামলায় দুই প্রাক্তন নৌপ্রধানের অভিযোগ, ২০০৮ সালে আফ্রিকার কঙ্গোতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর কমান্ডিং অফিসারের দায়িত্বে থাকার সময় ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত অধস্তন সেনা অফিসারদের আড়াল করার চেষ্টা করেছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল বিক্রম সিং। নানা গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত বিক্রম সিংকে পরবর্তী সেনাপ্রধানের কুরসিতে না বসিয়ে আপাতত জেনারেল ভি কে সিংকেই স্বপদে বহাল রাখার জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দিতে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আর্জি জানিয়েছেন দুই প্রাক্তন নৌপ্রধান-সহ অভিযোগকারী পক্ষের সদস্যরা।

.