সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ২: প্রতিরোধে এসে ভারতের শক্তি দেখে পালিয়ে যায় পাকিস্তানি F-16
তাদের তরফে পাঠানো হয় F-16 যুদ্ধবিমান। কিন্তু ভারতের শক্তি দেখে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় পাকিস্তানি সেনা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মোদী জমানায় আরও একটি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক। উরির সেনা ছাউনিতে জঙ্গি হামলার পাল্টা হিসেবে মোদী জমানার প্রথম সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছিল। এবার পুলওয়ামা জঙ্গিহানার প্রতিশোধ নিতে হল দ্বিতীয় সার্জিক্যাল স্ট্রাইক।
এবার আরও বড় আকারে এই হামলা চালানো হয় ভারতের তরফে। হামলার নেতৃত্ব দিল ভারতীয় বায়ুসেনা। হামলায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হল জইশ-ই-মহম্মদের কন্ট্রোল রুম। খতম প্রায় ২০০-৩০০ জঙ্গি।
মঙ্গলবার ভোররাতে যখন ভারতীয় বায়ুসেনা হামলা চালাতে শুরু করে, তখন তা টের পায় পাকিস্তানি সেনাও। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে, তখনই ভারতের হামলা রুখে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল তারা।
Sources: Pakistani F16s were scrambled to retaliate against IAF Mirage 2000s but turned back due to size of Indian formation. Western Air Command coordinated operation. pic.twitter.com/cCXndYNc1H
— ANI (@ANI) February 26, 2019
তাদের তরফে পাঠানো হয় F-16 যুদ্ধবিমান। কিন্তু ভারতের শক্তি দেখে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় পাকিস্তানি সেনা। কোনওরকম প্রতিরোধের সাহসই তারা দেখাতে পারেনি বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফের কনভয়ে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা হয়। বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে এসে কনভয়ে ধাক্কা মারে এক জঙ্গি আদিল। ঘটনায় শহিদ হন ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান।
আরও পড়ুন: সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ২ : নিখুঁত ছকে এক স্ট্রাইকেই নিকেশ ৩০০ জঙ্গি!
এর পর থেকে প্রতিশোধ চাইছিল গোটা দেশ। মোদী সরকারও যোগ্য জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। জবাব দিতে সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
অবশেষে ঘটনার ১২ দিন পর জবাব দিল ভারতীয় সেনা। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে জঙ্গি-নিধনের কাজ সেরে এলেন বায়ু সেনার অফিসাররা। মোদী সফলভাবে জমানায় সফল হল আরও একটি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক।
আরও পড়ুন: সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ২: পাকিস্তানের উপর প্রত্যাঘাতের পরই মন্ত্রীদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মোদী
বায়ুসেনা সূত্রে খবর, ১০০০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয় এই সার্জক্যাল স্ট্রাইকে। পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের খাইবার-পাখতুনওয়া এলাকায় এই হামলা চালানো হয়।
পাকিস্তানের সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, হামলা চালানো হয়েছে পাকিস্তানের বালাকোটে। পাক বায়ুসেনাও প্রতিরোধ করেছে। তবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে তাদের দাবি।