১০ দিনে ১৮ বার অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন, কারগিলের পর মেন্ধার, হামিরপুর সীমান্তে গুলি চালাল পাক সেনা

ভারত-পাক সীমান্তে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিল কারগিল-দ্রাস সেক্টরে পাক সেনার গুলি।ভা গত চোদ্দো বছরে এই প্রথম কারগিল অঞ্চলে অস্ত্রসংবরণ চুক্তি লঙ্ঘন করল পাকিস্তান। কারগিলে গুলি চালানোর কয়েক ঘণ্টা পর মেন্ধার ও হামিরপুরে সীমান্ত বরাবর গুলি চালাল পাক সেনা। সীমান্ত এলাকায় গত ১০ দিনে এ নিয়ে ১৮বার চুক্তি লঙ্ঘিত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইসলামাবাদের সঙ্গে আলোচনায় যাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।  

Updated By: Aug 17, 2013, 09:39 AM IST

ভারত-পাক সীমান্তে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিল কারগিল-দ্রাস সেক্টরে পাক সেনার গুলি। গত চোদ্দো বছরে এই প্রথম কারগিল অঞ্চলে অস্ত্রসংবরণ চুক্তি লঙ্ঘন করল পাকিস্তান। কারগিলে গুলি চালানোর কয়েক ঘণ্টা পর মেন্ধার ও হামিরপুরে সীমান্ত বরাবর গুলি চালাল পাক সেনা। সীমান্ত এলাকায় গত ১০ দিনে এ নিয়ে ১৮বার চুক্তি লঙ্ঘিত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইসলামাবাদের সঙ্গে আলোচনায় যাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।  
 
পুঞ্চে পাক সেনার হাতে ভারতীয় জওয়ানদের হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে নিয়ন্ত্রণরেখা। শুক্রবার পাক সেনার নিশানা হল কারগিল-দ্রাস সেক্টরে ভারতীয় সেনা পোস্টগুলিও। ১৯৯৯-এর কারগিল যুদ্ধের পর এই প্রথম ফের সীমান্তের ওপার থেকে গুলি চলল এখানে।
যদিও এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর এখনও পাওয়া যায়নি। ভারত-পাক সীমান্ত বরাবর বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিনই পাক সেনা অস্ত্রসংবরণ চুক্তি
লঙ্ঘন করছে। ওপার থেকে চলছে গুলি, মর্টার, রকেট শেল। এরই মধ্যে কুপওয়ারা জেলায় পাক-সেনার অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। নিহত হয়েছে চার জন জঙ্গি। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র।   
 
এই অবস্থায় পাকিস্তানের সঙ্গে এখনই আলোচনার সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী।
  
কেন্দ্রের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট বিজেপি। তাঁদের প্রশ্ন, পাকিস্তানের তরফে বারবার অস্ত্রসংবরণ চুক্তি লঙ্ঘন করা হলেও, মনমোহন প্রশাসন কেন তার জবাব দাবি করছে না?
 
সীমান্ত পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে শুক্রবার কাশ্মীরের আর এস পুরা সেক্টর পরিদর্শনে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অনিল গোস্বামী। এর পাশাপাশি আধা-সামরিক এবং বিএসএফের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন স্বরাষ্ট্রসচিব। ভারত সরাসরি পাকিস্তানের দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেও, দায় নিতে নারাজ পাকিস্তান। এদিকে, কড়া অবস্থান নেওয়ার জন্য কেন্দ্রের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে বিরোধীরা। শেষপর্যন্ত পরিস্থিতি কোনদিকে গড়ায়, সেদিকে নজর রয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেরও।  
 

.