মুফতির বয়ান হাতিয়ার করে এয়ার স্ট্রাইক অস্বীকার করার চেষ্টা পাকিস্তানের
পিডিপি নেত্রীর মন্তব্যই পাকিস্তানের হাতিয়ার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতের এয়ারস্ট্রাইকের পর দৃশ্যতই বেকায়দায় পাকিস্তান। আর নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে পিডিপি নেত্রী মেহবুবা নেত্রীর মন্তব্যকে হাতিয়ার করল ইসলামাবাদ।
পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি টুইটারে লেখেন, ''কাকভোরে ভারতীয় বায়ুসেনার প্রত্যাঘাত নিয়ে পরস্পরবিরোধী খবর পাচ্ছি। অফিসিয়ালি বলা হচ্ছে, জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যা অস্বীকার করছে পাকিস্তান। ভারতীয় বিমানকে পালাতে বাধ্য করেছে তারা। আশা করি, দুপক্ষের উদ্দেশ্য সাধিত হয়েছে''।
Post pre dawn strikes carried out by IAF, conflicting reports coming in. Official communique by FS claims that terror training camps were bombed while Pak denied this & said that the planes made a hasty retreat after being spotted. Hope objective of both sides has been served.
— Mehbooba Mufti (@MehboobaMufti) February 26, 2019
পিডিপি নেত্রীর এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে ভারতকে হেয় করতে নেমে পড়েছে পাকিস্তান। ভারতের এয়ার স্ট্রাইকের কথা অস্বীকার করে পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেসি বলেন,''ওদের দেশের নেত্রীই মেহবুবা মুফতি বয়ান দিয়েছেন। উনি বলেছেন, একটা কাহিনি তুলে ধরার চেষ্টা চলছে''। ভারত যে তাদের কোনও লোকসান করেনি, তা জানানোর জন্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের অকুস্থলে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু এখনই নিয়ে যাচ্ছে না তারা। কুরেসির সাফাই, আবহাওয়া খারাপ থাকায় কপ্টার উড়তে পারবে না।
#WATCH Pakistan Foreign Minister Shah Mehmood Qureshi says, "...Voices from within (within India) have started to emanate. The statement by Mehbooba Mufti is before you, that the story being presented is the opposite of reality." (Courtesy: Pakistan's PTV News) pic.twitter.com/y6VE7SVCaB
— ANI (@ANI) February 26, 2019
এদিন ভারতের এয়ার স্ট্রাইকের পরই জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পরে তিনি বলেন, ''এটা ভারতের আগ্রাসী মনোভাবের প্রতিফলন। কোথায়, কীভাবে জবাব দেওয়া হবে, তা স্থির করবে পাকিস্তান''।
আরও পড়ুন- আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন, ভারতের এয়ারস্ট্রাইকে আতঙ্কিত নওয়াজ কন্যা
ভারতের যুদ্ধবিমান নিয়ন্ত্রণরেখা পার করার কথা স্বীকার করেছে পাকিস্তান। তবে তাদের দাবি, বালাকোটে জঙ্গিঘাঁটি নেই। ফলে ধ্বংস করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। এর আগে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকও অস্বীকার করেছিল পাকিস্তান। ফলে ভিডিয়ো প্রকাশ করে তাদের মিথ্যা ফাঁস করে ভারত।