প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে ফের সরব বিরোধীরা
প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে ফের সরব বিরোধীরা
দুই মন্ত্রীকে সরিয়েও লাভ হল না। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে ফের সরব হল বিরোধীরা। কয়লা কেলেঙ্কারিতে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলে তাঁর ইস্তফা দাবি করেছে বিজেপি ও বামেরা।
কয়লা কেলেঙ্কারি নিয়ে সিবিআইয়ের গোপন রিপোর্ট খুলে দেখা ও তাতে রদবদল করায় সুপ্রিম কোর্টের তীব্র ভর্তসনা জুটেছে। সে জ্বালা জুড়োনোর আগেই ঘুষকাণ্ডে নাম জড়ায় রেলমন্ত্রীর। কর্নাটকের ভোট সাফল্যের ঠিক পরেই দুই ক্যাবিনেট মন্ত্রীকে সরিয়ে দিয়ে শ্যাম আর কূল দুই রক্ষার কৌশল নেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। তবে আইনমন্ত্রী অশ্বিনীকুমারকে সরাতে রাজি ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী।
তাঁর মত ছিল, সিবিআই রিপোর্ট রদবদলে তাঁর দফতরও যুক্ত। আইনমন্ত্রীকে সরালে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি উঠে যাবে। কিন্তু দলনেত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হয় প্রধানমন্ত্রীকে। এবং তাঁর আশঙ্কাই সত্যি করে শনিবার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে দুই মেরুতে থাকা বিজেপি আর সিপিআইএম।
বিরোধীদের দাবি ওড়াতে কংগ্রেস ঢাল করছে দুই মন্ত্রীর পদত্যাগের নজিরকেই। কংগ্রেসকে খানিকটা স্বস্তি দিয়েছে শরিক এনসিপি।
কংগ্রেস হাইকমান্ডকে স্বস্তি দিয়েছে লালুপ্রসাদ, মুলায়ম সিং, এমনকী নীতীশকুমারেরও নীরবতা। কেন্দ্রের কড়া সমালোচনা করলেও এই ইস্যুতে এখনও নীরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসও। আপাতত ক্রাইসিস ম্যানেজে ব্যস্ত কংগ্রেস। তারমধ্যেই শুরু হয়েছে আগামী সপ্তাহে মন্ত্রিসভায় রদবদলের তোড়জোড়। তার আগে পর্যন্ত আইন আর রেল মন্ত্রকের বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে টেলিকমমন্ত্রী কপিল সিব্বল ও সড়ক পরিবহণমন্ত্রী সিপি যোশীর হাতে।