সাজার হার মেরেকেটে ৩ শতাংশ, শুধু মৃত্যুদণ্ডেই কি কমবে শিশুধর্ষণ?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যখন বিচারব্যবস্থারই এই হাল, তখন সাজা কঠিন করে হবে কী? বিচার শেষ হতে তবে তো মৃত্যুদণ্ডের প্রশ্ন। তাছাড়া অভিযুক্তদের প্রায় ৯৪ শতাংশ যখন নির্যাতিতার পরিচিত, সেক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের কথা মাথায় রেখে অভিযোগ না দায়ের করার জন্যও চাপ বাড়তে পারে শিশুর পরিবারের ওপর।
ওয়েব ডেস্ক: কাঠুয়া গণধর্ষণের পর দেশজুড়ে বিক্ষোভের মধ্যে শনিবারই আইন আরও কড়া করেছে মোদী সরকার। রবিবার সেই প্রস্তাবে সাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ফলে এবার থেকে ১২ বছরের নীচে শিশুকে ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হলে মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত হল অপরাধীর। আইন যতই কড়া হোক না কেন, দেশে শিশুধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধে সাজার হার কিন্তু বেশ কম। অন্তত তেমনই বলছে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর পরিসংখ্যান।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশি তথ্য অনুসারে ২০১৬ সালে গোটা দেশে ৬৪,১৩৮টি শিশুধর্ষণের মামলা হয়েছিল। যার মধ্যে ১৮৬৯টি মামলায় সাজা শুনিয়েছে আদালত। যা মোট দায়ের হওয়া মামলার ৩ শতাংশও নয়। সব থেকে ভয়ের কথা, এই মামলাগুলিতে অভিযুক্তদের ৯৪ শতাংশ নির্যাতিত শিশুটির আত্মীয় বা পারিবারিক বন্ধু।
এবার সাধারণ লাইসেন্স থাকলেই চালানো যাবে বাণিজ্যিক গাড়ি, নির্দেশিকা কেন্দ্রের
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যখন বিচারব্যবস্থারই এই হাল, তখন সাজা কঠিন করে হবে কী? বিচার শেষ হতে তবে তো মৃত্যুদণ্ডের প্রশ্ন। তাছাড়া অভিযুক্তদের প্রায় ৯৪ শতাংশ যখন নির্যাতিতার পরিচিত, সেক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের কথা মাথায় রেখে অভিযোগ না দায়ের করার জন্যও চাপ বাড়তে পারে শিশুর পরিবারের ওপর।