যৌন জালে জড়িয়ে পড়ছে ভারতীয় স্কুল গার্লরা, সতর্ক করল ECPAT
সাইবার সেক্স-এ ক্রমশ জড়িয়ে পড়ছে ভারতীয় টিনেজরা, বিশেষ করে স্কুল গার্লদের টার্গেট করেই রমরমিয়ে ব্যবসা করছে অ্যাডাল্ট ওয়েবসাইটের দালালচক্র, এই সতর্ক বার্তাই জানিয়ে দিল ECPAT। ভারতের সেক্স ইন্ডাস্ট্রি ওয়েব মাধ্যমকে ব্যবহার করে যৌন জাল তৈরি করছে এবং সেই ফাঁদে পা দিয়েই শোষণের শিকার হচ্ছে ভারতীয় কিশোরীরা, আন্তর্জাতিক সংগঠন ECPAT-এর এই সতর্ক বার্তায় ঘুম ছুটেছে ভারতের সাইবার সেলের আধিকারিকদের। চিন্তায় পড়েছেন মনোবিদ থেকে সমাজ গবেষকরাও। অবশ্যই পড়ুন- ২০ দিনের দাম্পত্য শেষ হল ২০ বছরের ডিভোর্সে
ওয়েব ডেস্ক: সাইবার সেক্স-এ ক্রমশ জড়িয়ে পড়ছে ভারতীয় টিনেজরা, বিশেষ করে স্কুল গার্লদের টার্গেট করেই রমরমিয়ে ব্যবসা করছে অ্যাডাল্ট ওয়েবসাইটের দালালচক্র, এই সতর্ক বার্তাই জানিয়ে দিল ECPAT। ভারতের সেক্স ইন্ডাস্ট্রি ওয়েব মাধ্যমকে ব্যবহার করে যৌন জাল তৈরি করছে এবং সেই ফাঁদে পা দিয়েই শোষণের শিকার হচ্ছে ভারতীয় কিশোরীরা, আন্তর্জাতিক সংগঠন ECPAT-এর এই সতর্ক বার্তায় ঘুম ছুটেছে ভারতের সাইবার সেলের আধিকারিকদের। চিন্তায় পড়েছেন মনোবিদ থেকে সমাজ গবেষকরাও। অবশ্যই পড়ুন- ২০ দিনের দাম্পত্য শেষ হল ২০ বছরের ডিভোর্সে
ব্রিটেনের সংবাদ মাধ্যম 'ডেইলিমেল'-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের সেক্স ইন্ডাস্ট্রি এসকর্ট এজেন্সি এবং মডেল কর্ডিনেটরের মত ছদ্মবেশী ওয়েবসাইটকে ব্যবহার করে ভারতীয় টিনেজদেরকে যৌন জালে জড়িয়ে ফেলছে এবং তারপর তাদের ট্রেনিং দিয়ে ওয়েব ক্যামের সামনে 'সেক্স পারফর্ম্যান্স'-এর জন্য বাধ্য করছে। ওই প্রতিবেদনে এও বলা হয়, এমন অনেক ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ বাজারে রমরমিয়ে চলছে যেখানে স্বল্প টাকার বিনিময়ে কিশোরীদের 'সেক্সুয়াল অ্যাক্ট'-এর লাইভ স্ট্রিমিং করা হচ্ছে। আর এই কাজের সিংহভাগ ক্ষেত্রেই টাকার লেনদেন হচ্ছে অনলানে, এমনই দাবি 'ডেইলিমেল'-এর।
ECPAT-এর আধিকারিক রাজীব কে হালদার জানিয়েছেন, "এই ধরণের ওয়েবসাইটগুলোর চাহিদা মূলত স্কুল গার্ল কিংবা কলেজ গার্লরাই। তবে এটাও সত্যি, যৌনকর্মীরা তো বটেই কর্ম জগতের অনেক প্রতিষ্ঠিত ক্ষেত্র থেকেও মেয়েরা এখানে 'সেক্সুয়াল অ্যাক্ট'-করছে"। বিশেষজ্ঞদের মতে 'সাইবার সেক্স'-এ সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শৈশব। আইনজীবীরা জানাচ্ছেন এই ধরণের 'সেক্সুয়াল অ্যাক্ট', আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কোনও ব্যক্তি যদি 'সাইবার সেক্স'-এ ধরা পড়েন তাহলে দ্য আইটি অ্যাক্ট (২০০০) সেকশন ৬৭বি অনুযায়ী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা হবে এবং দোষ প্রমাণ হলে ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত আর্থিক জরিমানাও হতে পারে।