উত্তেজনায় প্রহর গুনছেন অসমের দেড় কোটি মানুষ, সোমবার প্রকাশিত হচ্ছে চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জী
নাগরিক হিসেবে নাম নথিভূক্ত করানোর জন্য ৩.৫ কোটি আবেদন জমা পড়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: অসমে দেড় কোটি মানুষের ভাগ্য এখন সরু সুতোর মধ্যে ঝুলে রয়েছে। সোমবার সরকার প্রকাশিত চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জী অনুযায়ী ঠিক হয়ে যাবে কারা অসমের নাগরিক আর কারা বিদেশি। এদিনই প্রকাশিত হচ্ছে ন্যাশনাল রেজিস্ট্রি অব সিটিজেনসের চূড়ান্ত তালিকা।
আরও পড়ুন-সাক্ষাত্ মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা! রায়গড়ে একমাত্র জীবিতের মুখে হাড়হিম করা অভিজ্ঞতা
উল্লেখ্য, এই তালিকা প্রকাশের মূল উদ্দেশ্য হল অসমের নাগরিকদের সঙ্গে বাংলাদেশিদের পৃথক করা। এই সমস্যা বহুদিনের। অসম সরকারের দাবি বহু বাংলাদেশি অসমে ঢুকে এখন নাগরিকত্ব দাবি করছে। এদের সরাতে হবে। ২০১৭ সালের ২৪ মার্চ পর্যন্ত যারা তাদের এদেশের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারবেন তারাই নাগরিক তালিকায় স্থান পাবেন।
নাগরিক পঞ্জীতে নাম তোলার ব্যাপারে ভুরি ভুরি অভিযোগ আসতে শুরু করছে। এদের মধ্যে অনেকেরই অভিযোগ মুসলিমদেরই টার্গেট করা হচ্ছে। পাশাপাশি অনেকের অভিযোগ, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার পরও তাদের নাম নাগরিকপঞ্জী থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সোমবার ওই তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে এই আশঙ্কায় অসমে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ২২ হাজার জওয়ান পাঠিয়েছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন-মধ্যমগ্রামে তৃণমূল নেতার 'রহস্যমৃত্যু', সেপটিক ট্যাঙ্কে মিলল দেহ
১৯৫১ সালে লোক গণনার পর প্রথম তৈরি হয় জাতীয় নাগরিক পঞ্জী। বর্তমানে ওই নাগরিক পঞ্জী আপডেট করা হচ্ছে। সেখানে ১৯৫১ সালে যাদের নাম ছিল তাদের পরিবারের লোকজনরা রয়েছে কিনা দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ পর্যন্ত ভোটার লিস্টে যাদের নাম রয়েছে তাদেরই চূড়ান্ত নাগরিক পঞ্জীতে রাখা হচ্ছে।
১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ এদেশে ছিলেন বা সরকারি নথিতে নাম রয়েছে এমন মানুষজনদের ভারতের নাগরিক হিসেবে গণ্য করা হবে। পাশাপাশি ১৯৬৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ পর্যন্ত যারা নিজেদের নাম নথিভূক্ত করেছেন তারাও নাগরিক হবেন।
সূত্রের খবর, নাগরিক হিসেবে নাম নথিভূক্ত করানোর জন্য ৩.৫ কোটি আবেদন জমা পড়েছে। এদের মধ্যে ১.৯ কোটি আবেদন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এদের নাম নাগরিক পঞ্জীর প্রথম তালিকায় রাখা হয়েছে। তবে আবেদনকারীদের মধ্যে ১.৫ লাখ মানুষকে বাদ দেওয়া হবে বলে খবর।
বহু মহিলা আবেদন করে অনেকেই ফাঁপড়ে পড়েছেন। তারা পঞ্চায়েতের সার্টিফিকেট নিয়ে আবেদন করেছিলেন। তাদরে কাছ থেকে বিয়ের সার্টিফিকেট চাওয়া হয়েছে। কারও কাছে চাওয়া হয়েছে স্কুলের সার্টিফিকেট।