গুজরাট দাঙ্গা মামলায় ১৮ জনের যাবজ্জীবন

দু`দিন আগেই সিট রিপোর্টে ২০০২-এর গুলবার্গ গণহত্যাকাণ্ডের দায় থেকে মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিষ্কৃতি দেওয়ার স্বস্তির ছোঁয়া লেগেছিল গুজরাট বিজেপিতে। এদিন গোধরা পরবর্তী দাঙ্গাপর্বের ওদে গণহত্যাকাণ্ডে জড়িত ১৮ জনকে আনন্দ জেলার বিশেষ সিট-আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করায় ফের বিধানসভা ভোটের মুখে বিড়ম্বনায় মুখে পড়ল গেরুয়া শিবির। এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত অন্য ৫ জনকে ৭ বছরের জেলের সাজা দিয়েছেন বিচারক পি বি সিং।

Updated By: Apr 12, 2012, 12:56 PM IST

দু`দিন আগেই সিট রিপোর্টে ২০০২-এর গুলবার্গ গণহত্যাকাণ্ডের দায় থেকে মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিষ্কৃতি দেওয়ার স্বস্তির ছোঁয়া লেগেছিল গুজরাট বিজেপিতে। এদিন গোধরা পরবর্তী দাঙ্গাপর্বের ওদে গণহত্যাকাণ্ডে জড়িত ১৮ জনকে আনন্দ জেলার বিশেষ সিট-আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করায় ফের বিধানসভা ভোটের মুখে বিড়ম্বনায় মুখে পড়ল গেরুয়া শিবির। এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত অন্য ৫ জনকে ৭ বছরের জেলের সাজা দিয়েছেন বিচারক পি বি সিং।
গত সোমবার গুজরাটে ২০০২ সালের গোধরা পরবর্তী দাঙ্গাপর্বের ওদে গণহত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে আনন্দ জেলার বিশেষ আদালত। কিন্তু এই ঘটনায় অভিযুক্ত ৪৭ জনের মধ্যে ২৩ জনকে উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেন বিশেষ আদালতের বিচারক পি বি সিং। সুপ্রিম কোর্ট গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর চার্জশিটে অভিযুক্ত অন্য ব্যক্তির মামলা চলাকালীন মৃত্যু হয়। ২০০২ সালের ১ মার্চ রাতে আনন্দ জেলার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ওদে গ্রাম ঘিরে হামলা চালায় হাজারখানেক দুষ্কৃতী। ২০টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে ৯ জন শিশু-সহ ২৪ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়। দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, হামলাকারীরা অধিকাংশই ছিল বিজেপি`র পরিচিত মুখ।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে গোধরার সবরমতী এক্সপ্রেস অগ্নিকাণ্ডের পরবর্তী মোট ৯টি দাঙ্গার মামলার তদন্ত রয়েছে সুপ্রিম কোর্ট গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) হাতে। তার মধ্যে দ্বিতীয় মামলাটিরই নিষ্পত্তি হল এ দিন। গত বছর নভেম্বর মাসে ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারির রাতে সরদারপুরা গ্রামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৩৩ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগে ৩১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দণ্ডিত করে মেহসানার বিশেষ আদালত। চলতি বছরের শেষেই গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন। এই প্রেক্ষিতে এদিন আনন্দ জেলার বিশেষ `সিট`-আদালতের রায়কে নরেন্দ্র মোদী সরকারের কাছে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

.