ভারতের শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে চাইছে মোদী সরকার: অমর্ত্য সেন

মোদীর সঙ্গে আরও একবার প্রকাশ্যে এল  অমর্ত্য সেনের বিরোধ। নোবেল বিজয়ী এই অর্থনীতিবিদ সরাসরি অভিযোগ করলেন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে তাঁর অপসারণের পিছনে মূল কলকাঠি নেড়ে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই।

Updated By: Jul 7, 2015, 12:35 PM IST
  ভারতের শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে চাইছে মোদী সরকার: অমর্ত্য সেন

ওয়েব ডেস্ক: মোদীর সঙ্গে আরও একবার প্রকাশ্যে এল  অমর্ত্য সেনের বিরোধ। নোবেল বিজয়ী এই অর্থনীতিবিদ সরাসরি অভিযোগ করলেন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে তাঁর অপসারণের পিছনে মূল কলকাঠি নেড়ে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই।

নিউ ইয়র্ক রিভিউ অফ বুকস-এর অগাস্ট সংখ্যায় ৪০ কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, মোদী সরকার বস্তুত ভারতের শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলিতে প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে চাইছে। তাঁর মতে ভারতের শিক্ষাব্যবস্থা এই মুহূর্তে আগ্রাসনের ভয়াবহ হুমকির সম্মুখীন।

একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক সেন ভারতের অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। জানিয়েছেন এই সরকার বাজার অর্থনীতি বুঝতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। দিন দিন এ দেশের কেন্দ্রীয় বাজেটে কমতে থাকা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দের পরিমাণ তাঁকে চিন্তিত করেছে। তিনি বলেছেন ''আমি শিল্পায়ন বিরোধী নই। কিন্তু প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অভাবে থাকা কোনও শ্রমিক শক্তিকে দিয়ে পৃথিবীর কোনও দেশই বৃহৎ শিল্পোন্নত দেশে পরিণত হতে পারে না।''  

গত ১৭ জুলাই নালন্দা আচার্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন অমর্ত্য সেন। বর্তমানে নালন্দার আচার্য পদের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সিঙ্গাপুরের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী জর্জ ইয়েও।

বিশ্ববিখ্যাত অর্থনীতিবিদের অভিযোগ তাঁকে নালন্দার আচার্য পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। ''বোর্ডের কিছু সদস্য, বিশেষত বিদেশী সদস্যরা চাইছিলেন আমি যাতে দায়িত্ব থেকে সরে না যাই। কিন্তু অকার্যকরী নেতা হিসেবে থেকে যাওয়ার কোনও ইচ্ছা আমার ছিল না। তাই সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমি থেকে গেলে সরকার সম্ভবত বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক অনুদানে কোপ বসাত।'' মন্তব্য অমর্ত্য সেনের।

কীভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে আধিপত্য বিস্তার করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে টিআইএফআর-এর কথা উল্লেখ করেছেন এই নোবেল বিজয়ী। বিখ্যাত এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর পদে ডঃ সন্দীপ ত্রিবেদীর নিয়োগ খারিজ করাকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছেন তিনি। উল্লেখ করেছেন দিল্লি ও বম্বে আইআইটির ঘটনাও।

 

 

 

.