মধ্যস্থতা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যসভায় সাফ জবাব বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের

এ দিন লোকসভায়ও কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন। কংগ্রেসের অভিযোগ, ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে মধ্যস্থতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর যে আর্জি করেছেন, এতে দেশের অসম্মান হয়েছে

Updated By: Jul 23, 2019, 12:08 PM IST
মধ্যস্থতা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যসভায় সাফ জবাব বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের
ছবি- এএনআই

নিজস্ব প্রতিবেদন:  আজ রাজ্যসভায় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সাফ জানিয়ে দেন, কাশ্মীর ইস্যুতে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মধ্যস্থতা করার মতো কোনও মন্তব্য করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কাশ্মীর সমস্যা দ্বিপাক্ষীক বিষয়। ভারত প্রথম থেকেই এই অবস্থানে বিশ্বাস করে, সন্ত্রাস এবং আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না। সংসদের উচ্চকক্ষে জয়শঙ্কর বলেন, নির্দিষ্ট করে বলতে চাই, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ ধরনের কোনও মন্তব্য করেননি। এরপরও তুমুল হইহট্টগোল করতে দেখা যায় বিরোধীদের। দুপুর ১২ টা পর্যন্ত রাজ্যসভা মুলতুবি করে দেন চেয়ারম্যান।

এ দিন লোকসভায়ও কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন। কংগ্রেসের অভিযোগ, ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে মধ্যস্থতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর যে আর্জি করেছেন, এতে দেশের অসম্মান হয়েছে। দেশ এভাবে কারোর কাছে মাথা নোয়াতে পারে না। কিন্তু কংগ্রেস নেতা শশী থারুর গলায় উলটো সুর শোনা যায়। তিনি বলেন, আলটপকা মন্তব্য করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই মন্তব্যের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তাঁকে মধ্যস্থতা বিষয়ে আর্জি করবে হয়ত তিনি ভাবতে পারেননি।

আরও পড়ুন- নীরব কেন মোদী? কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ট্রাম্পের দাবির জবাব চাইল কংগ্রেস

কূটনৈতির বিশেষজ্ঞদের একাংশও মনে করছেন, ট্রাম্প মন্তব্য নেহাতেই ছেলেমানুষি। ভেবেচিন্তে তিনি কিছু বললেননি। আন্তর্জাতিক বিষয়ক অধ্যাপক অনিন্দ্যজ্যোতি মজুমদার জানান, ট্রাম্পের মন্তব্য টেনে আন্তর্জাতিক মঞ্চে কিছুটা ফায়দা তোলার চেষ্টা করবে পাকিস্তান। কিন্তু এ সাময়িক বিতর্ক। কাশ্মীর বিষয়ে ভারতের অবস্থান একই জায়গায় থাকবে বলে মনে করেন তিনি।

উল্লেখ্য, হোয়াইট হাউজে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানান, কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে আলোচনা করতে প্রস্তুত। এর আগে একাধিকবার আলোচনার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়। দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের মধ্যস্থতার দাবি জানান ইমরান। তখনই ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, এ বিষয়ে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা হয়েছে। মোদীও তাঁকে মধ্যস্থতা করার জন্য প্রস্তাব দেন। ট্রাম্প এর পর বলেন, যদি দুই পক্ষ রাজি থাকে, তাহলে আমেরিকা মধ্যস্থতা করতে রাজি।

.