কমলা মিলসে বেআইনি রেস্তরাঁয় ছিল না অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা
মুম্বইয়ের লোয়ার প্যারেল এলাকায় কমলা মিলসের ছাদে অবস্থিত রেস্তরাঁ থেকেই ছড়িয়ে পড়েছিল আগুন। জীবন্ত দগ্ধ ও শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয় ১৫ জনের। সেই ঘটনায় এবার রেস্তরাঁটির অব্যবস্থার দিকেই উঠছে অভিযোগের আঙুল।
নিজস্ব প্রতিবেদন : মুম্বইয়ের লোয়ার প্যারেল এলাকায় কমলা মিলসের ছাদে অবস্থিত রেস্তরাঁ থেকেই ছড়িয়ে পড়েছিল আগুন। জীবন্ত দগ্ধ ও শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয় ১৫ জনের। সেই ঘটনায় এবার রেস্তরাঁটির অব্যবস্থার দিকেই উঠছে অভিযোগের আঙুল।
অভিযোগ, রেস্তরাঁটির ভিতরে কোনও আগুন নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। ছিল না বিপদের মুখে রেস্তরাঁ থেকে বেরনোর জন্য যথাযথ আপত্কালীন দরজাও। বৃহস্পতিবার রাতে ওই রেস্তরাঁয় জন্মদিনের পার্টি চলছিল। তখনই রেস্তরাঁর ফলস্ সিলিংয়ে প্রথম আগুন লাগে। ফলস্ সিলিংটি দাহ্য বস্তুতে তৈরি হওয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সেই আগুন। আনন্দ মুহূর্ত নিমেষে ভরে যায় আর্তনাদে।
ঘটনার তদন্তে নেমে বরখাস্ত করা হয়েছে বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ৫ আধিকারিককে। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই রেস্তরাঁটির বিরুদ্ধে নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ জমা পড়ছিল বৃহন্মমুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের দফতরে। নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে ওই রেস্তরাঁকে অতীতে বেশ কয়েকবার নোটিসও পাঠানো হয়েছিল। উল্লেখ্য, এই বছরই তিনবার নোটিস পাঠানো হয় ওই রেস্তরাঁকে। কিন্তু তাতেও হুঁশ ফেরেনি রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষের।
আরও পড়ুন, মুছে দেওয়া হয়েছিল সিঁদুর, খুলে নেওয়া হয় বালা; স্মৃতি আউড়ে বললেন সরবজিতের দিদি
আরও অভিযোগ, ওই রেস্তরাঁয় বেআইনিভাবে হুকো বিক্রি করা হত। এমনকি বেআইনিভাবেই ছাদের উপর ফাঁকা জায়গা দখল করে তৈরি করা হয়েছিল রেস্তরাঁটি। যার জন্য একবার ওই রেস্তরাঁর কিছু অংশ ভেঙেও দেওয়া হয়।