Nitish Kumar Takes Oath: সকালে ইস্তফা; বিকেলেই শপথ, নবম বার বিহারে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে নীতীশ

Nitish Kumar Takes Oath: লোকসভা ভোটের মুখে একপ্রকার বিজেপি বিরোধী জোটকে দায়িত্ব নিয়েই ডোবালেন নীতীশ। বিহারের ইতিহাস বলছে যখনও চেয়েছেন তখনই শিবির বদল করেছেন নীতীশবাবু

Updated By: Jan 28, 2024, 06:22 PM IST
Nitish Kumar Takes Oath: সকালে ইস্তফা; বিকেলেই শপথ, নবম বার বিহারে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে নীতীশ

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আবার শপথ। পঞ্চমবার জোট বদল করে নবমবারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন নীতীশ কুমার। সকালে ইস্তফা যখন দিয়েছিলেন তখনই জানা গিয়েছিল বিকেলেই রাজ্যপালের কাছে গিয়ে শপথ নেবেন নীতীশ। কারণ তাঁর পেছনে রয়েছে বিজেপির শক্তি। সেটাই হল। 'ইন্ডিয়া' জোটের অন্যতম কারিগর বলে যাকে মনে করা হতো সেই নীতীশ জোটকে ডুবিয়ে আশ্রয় নিলেন এনডিএ শিবিরে। শপথগর্হণ অনুষ্ঠানে হাজির বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।

আরও পড়ুন-'অনেক কাউন্সিলারের তিনতলা বাড়ি হয়েছে; নিশ্চয় দুর্নীতি করেছে, কেউ পার পাবে না': জাকির হোসেন

নীতীশের পাশাপাশি মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন জেডিইউয়ের বিজয় কুমার চৌধুরী, বিজেন্দ্র প্রসাদ ও শাওয়ান কুমার। এদের সঙ্গেই বিজেপি নেতা সম্রাট চৌধুরী, ডা প্রেম কুমার, বিজয় সিনহা, হিন্দুস্থান আওয়াম মোর্চার প্রেসিডেন্ট ডা সন্তোষ কুমার ও নির্দল বিধায়ক সুমিত কুমারও মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নেন। সম্রাট চৌধুরী ও সুমিত কুমার সম্ভবত বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন।

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নীতীশ কুমার প্রথমবার শপথ নেন ২০০০ সালের মার্চে। দ্বিতীয়বার শপথ নেন ২০০৫ সালের নভেম্বরে। তৃতীয়বার ২০১০ সালে নভেম্বরে। চতুর্থবার ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে। পঞ্চমবার ২০১৫ সালের নভেম্বরে। ষষ্ঠবার ২০১৭ সালের জুলাইয়ে। সপ্তমবার ২০২০ সালের নভেম্বরে। অষ্টমবার ২০২২ সালের অগাস্টে। আর নবম বার ২০২৪ সালের ২৮ জানুয়ারি।  

আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব এক সময় নীতীশকে বলতেন 'পাল্টু চাচা'। গত বিধানসভা নির্বাচনে সেই নীতীশের হাত ধরেই মিলিজুলি সরকার গড়েছিল আরজেডি, জেডিইউ, কংগ্রেস। এবার পেল পাল্টি খেলেন নীতীশ। তাঁর দাবি তাঁর সহ্গে রয়েছে ১২৮ বিধায়ক। এর মদ্যে বিজেপির ৭৮ জন, জেডিইউয়ের ৪৫ জন, হাম-এর ৪ বিধায়ক ও ১ জন নির্দল বিধায়ক।

কেন মহাজোট ভেঙে বেরিয়ে এলেন নীতীশ? ইস্তফা দিয়ে সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, জোট ঠিকঠাক চলছিল না। বহুদিন এনিয়ে আমি কিছুই বলিনি। এখন বলছি কারণ রাজ্য মহাজোট আর সেই জায়গায় নেই। দলের কর্মী থেকে শুরু করে নেতাদের সবার কাছ থেকে বিভিন্ন রকম পরামর্শ পাচ্ছিলাম। সেই কথা বিবেচনা করেই আজ ইস্তফা দিলাম। পাশাপাশি এই জোট সরকার ভেঙে দিলাম।

ইন্ডিয়া ব্লকের অন্যতম কারিগর ছিলেন নীতীশ কুমার ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জোটে কংগ্রেস যে বারবারই অন্যদের চাপে রাখার চেষ্টা করছিল তার বিরোধীদের কথায় স্পষ্ট। মল্লিকার্জুন খাড়গে ইন্ডিয়া ব্লকের আহ্বায়ক হলে কিছুটা অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন নীতীশবাবা। বিজেপি বিরোধী এই জোট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আজ নীতীশ কুমার বলেন, গত বছর অগাস্ট মাসে নতুন একটি মহাজোট তৈরি করেছিলাম। সেই জোটের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। দেখে তো তেমন মনে হচ্ছে না। জোট তৈরির করার জন্য অনেক কিছুই করেছিলাম। কিন্তু অন্যরা কিছু করছে না। জোটের মধ্যে জোট তৈরির চেষ্টা চলছে।

রাজনৈতিক মহলের খবর, জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঠিক করা। রাজ্যে রাজ্যে বিরোধী দলগুলির মধ্যে আসন সমজোতায় ঢিলেমি এবাং তাঁর গুরুত্ব কমিয়ে দেওয়ার চেষ্টাকে ভালো চোখে দেখছিলেন না নীতীশ। তবে শুধু য়ে সেটাই জোট ছেড়ে এনডিএর ছাতার তলায় আশ্রয় নেওয়ার কারণ তা মানতে নারাজ অনেকেই।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.