জেলে আমাকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ নির্ভয়ার দোষীর

আগামী শনিবার সকাল ৬টায় ফাঁসি হওয়ার কথা নির্ভয়ার দোষীদের। 

Updated By: Jan 28, 2020, 05:15 PM IST
জেলে আমাকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ নির্ভয়ার দোষীর

নিজস্ব প্রতিবেদন: তিহাড় জেলে যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছেন মুকেশ সিং। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন আইনজীবী অঞ্জনা প্রকাশ। নির্ভয়াকাণ্ডে দোষীদের ক্ষমাভিক্ষার আর্জি বাতিল করেছে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ওই সিদ্ধান্তের পর্যালোচনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে নির্ভয়াকাণ্ডের দোষীরা।

এদিন মুকেশের আইনজীবী তাঁর হয়ে আদালতে প্রশ্ন করেন, আদালতে আমাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। আমাকে কি ধর্ষণ করার শাস্তি দিয়েছে? তিনি আরও দাবি করেন, ক্ষমাভিক্ষা আর্জি প্রত্যাহারের পর তাঁকে আলাদা ঘরে রাখা হয়নি। আরও বেশি কিছু নিয়ম মানা হয়নি। মুকেশের আইনজীবী অঞ্জন প্রকাশ আরও দাবি করেন, ২০১২ সালে গণধর্ষণকাণ্ডে আরও এক দোষী রাম সিংকে জেলের মধ্যেই খুন করা হয়েছিল। সেটা আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া হয়। ২০১৩ সালে মার্চে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। 

এদিন মুকেশের আইনজীবী তাঁর হয়ে আদালতে প্রশ্ন করেন, আদালতে আমাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। আমাকে কি ধর্ষণ করার শাস্তি দিয়েছে? তিনি আরও দাবি করেন, ক্ষমাভিক্ষা আর্জি প্রত্যাহারের পর তাঁকে আলাদা ঘরে রাখা হয়নি। আরও বেশি কিছু নিয়ম মানা হয়নি। মুকেশের আইনজীবী অঞ্জন প্রকাশ আরও দাবি করেন, ২০১২ সালে গণধর্ষণকাণ্ডে আরও এক দোষী রাম সিংকে জেলের মধ্যেই খুন করা হয়েছিল। সেটা আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া হয়। ২০১৩ সালে মার্চে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। 

সলিসিটর জেনারেল তুষণা মেহতা আদালতে জানান, জেলে দুর্ব্যবহার বা অব্যবস্থাপনা ক্ষমাভিক্ষার কারণ হতে পারে না। যদি ধরে নিই, জেলে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে, এটা তাঁকে ফাঁসির সাজা মকুবের কারণ হতে পারে না। 

আগামী শনিবার সকাল ৬টায় ফাঁসি হওয়ার কথা নির্ভয়ার দোষীদের। কিন্তু ফাঁসির দিনক্ষণ পিছিয়ে দিতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছেন না তাঁরা। এদিন দোষীর আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, সব ধরনের নথি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়নি। একতরফাভাবে ক্ষমার আর্জি খারিজ করেছেন রাষ্ট্রপতি।             

সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ প্রশ্ন করে, রাষ্ট্রপতি ক্ষমার আবেদন খারিজ করার আগে সব তথ্য দেখেননি এটা কীভাবে বলতে পারেন? মুকেশের আইনজীবী সওয়াল করেন, রামনাথ কোবিন্দের কাছে সব নথি পেশ করা হয়নি। তথ্য জানার অধিকার আইনেই বলেছে, নিম্ন আদালতের নির্দেশের প্রতিলিপি রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া হয়নি। জেল সুপারের সুপারিশও ছিল না। বুধবার মুকেশের আবেদন নিয়ে চূড়ান্ত রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট। 
  

আরও পড়ুন- শাহিনবাগে ‘দেশবিরোধী’ বক্তব্য, বিহারের জেহানাবাদ থেকে গ্রেফতার জেএনইউর ছাত্র শারজিল ইমাম

.