১৯৪৫ সালে বিমান দুর্ঘটনাতেই মৃত্যু নেতাজির, জানাল কেন্দ্র
সাত দশকের রহস্যে যবনিকা। তাইহোকু বিমান দুর্ঘটনাতেই নেতাজির মৃত্যু হয়েছিল। জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ঘোষণার পরও অবশ্য শেষ হল না বিতর্ক। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছে নেতাজি পরিবারের একাংশ।
ওয়েব ডেস্ক : সাত দশকের রহস্যে যবনিকা। তাইহোকু বিমান দুর্ঘটনাতেই নেতাজির মৃত্যু হয়েছিল। জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ঘোষণার পরও অবশ্য শেষ হল না বিতর্ক। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছে নেতাজি পরিবারের একাংশ।
বিমান দুর্ঘটনাতেই কি নেতাজির মৃত্যু হয়েছিল? নাকি তিনি পালিয়ে যান রাশিয়ায়? গুমনামিবাবার আসল পরিচয়ই বা কী? সাত দশক ধরে এই সব প্রশ্নে আলোড়িত দেশ। দ্বিধাবিভক্ত গবেষকরা। এমনকি নেতাজির পরিবারও। সরকারের ঘোষণায় অবশেষে পড়ল যবনিকা।
১৯৪৫-এর ১৮ই অগাস্টের পর নেতাজি কোথায় ছিলেন সে বিষয়ে কি সরকারের কাছে কোনও তথ্য আছে? তথ্যের অধিকার আইনে তা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে জানতে চান সায়ক সেন। উত্তরে কেন্দ্র জানিয়েছে, ১৯৪৫-এর ১৮ অগাস্ট বিমান দুর্ঘটনাতেই নেতাজির মৃত্যু হয়। শাহনওয়াজ কমিটি, খোসলা কমিশন ও মুখার্জি কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে সরকার এই সিদ্ধান্তে পৌছেছে।
আরও পড়ুন- ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও এবার পোর্টাবিলিটি?
তথ্যের অধিকার আইনে গুমনামিবাবা ওরফে ভগবানজি সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয়। কেন্দ্রের উত্তর, গুমনামিবাবা ওরফে ভগবানজি যে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু নন, সে বিষয়ে মুখার্জি কমিশনই সিদ্ধান্তে পৌছয়। কেন্দ্রের রিপোর্টে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নেতাজির প্রপৌত্র চন্দ্র বসু।
সম্প্রতি, নেতাজি সংক্রান্ত গোপন ফাইল প্রকাশ করে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। এই ফাইলে নেতাজির মৃত্যু রহস্য সমাধানের ইঙ্গিত মিলতে পারে বলে কোনও কোনও মহলে আশা প্রকাশ করা হয়। যদিও তেমন কিছু পাওয়া যায়নি বলেই জানান বিশেষজ্ঞরা। এ বার কেন্দ্রের ঘোষণাই সাত দশকের রহস্যময়তায় ইতি টানল। তবে শেষ হল না বিতর্ক।