সৌদি কূটনীতিকের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও ভয়াবহ শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ মা, মেয়ের
সৌদি আরব দূতাবাসের কূটনীতিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুললেন নেপালের এক মহিলা। ২০ বছরের ওই মহিলা তার ৪৪ বছরের মা দিল্লিতে ওই কূটনীতিকের বাড়িতে কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। মহিলার অভিযোগ তাকে ও তার মাকে টানা ৪ মাস ধরে ধর্ষণ করে ওই কূটনীতিক। শুধু তাই নয়, কূটনীতিকের স্ত্রী ও তার মেয়ের বিরুদ্ধে তাদের ওপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচারেরও অভিযোগ তুলেছেন ওই মহিলা।
ওয়েব ডেস্ক: সৌদি আরব দূতাবাসের কূটনীতিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুললেন নেপালের এক মহিলা। ২০ বছরের ওই মহিলা তার ৪৪ বছরের মা দিল্লিতে ওই কূটনীতিকের বাড়িতে কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। মহিলার অভিযোগ তাকে ও তার মাকে টানা ৪ মাস ধরে ধর্ষণ করে ওই কূটনীতিক। শুধু তাই নয়, কূটনীতিকের স্ত্রী ও তার মেয়ের বিরুদ্ধে তাদের ওপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচারেরও অভিযোগ তুলেছেন ওই মহিলা।
অভিযোগকারী মহিলা জানান, "গত ৪ মাস আমাদের কাছে অভিশাপের মতো ছিল। বীভত্স অভিজ্ঞতা, ভেবেছিলাম ওই বাড়ির মধ্যেই মরে যাবো, আমাদের পরিবার কোনওদিন আমাদের দেহ খুঁজে পাবে না।" সোমবার অ্যাম্বিয়েন্স আইল্যান্ড কাইট্রিওনা কমপ্লেক্সের ৬ তলা থেকে মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে হরিয়াণা পুলিস। নেপাল দূতাবাস ও মাইতি নেপাল ভারত নামের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাহায্যেই উদ্ধার করা হয় তাদের।
অভিযোগকারী মহিলার মা জানান, "এমনও দিন গেছে যখন সৌদি আরব থেকে আসা ৭ থেকে ৮ জন যুবক একসঙ্গে ধর্ষণ করেছে আমাদের। বাধা দিতে গেলে আদারে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হত।" মাঝে মাঝে সারাদিন তাদের অভুক্ত রাখা হত বলেও জানিয়েছেন মা, মেয়ে। তবে স্নান করতে দেওয়া হত। শুধুমাত্র বাড়ির অতিথিদের সামনে যাওয়ার আগে। যারা তাদের ধর্ষণ করতো।
মেয়ে জানান, "বাড়ির সব কাজ আমরা করতাম। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত। আর তারপর রাতে চলতো ধর্ষণ। খেতে দেওয়া হত না। মাঝে মাঝে শুধু বিস্কুট, রুটি, জল আর চা খেয়ে থাকতে হতো। কোনওদিন বাড়ির বাইরে যেতে দিতো না।" মাঝে মাঝে তাদের নৈনিতাল ও আগ্রা নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হতো বলেও জানিয়েছেন মেয়ে।
"আমরা ওই বাড়িতে কাজে যোগ দেওয়ার পরই ১৫ দিনের জন্য আমাদের সৌদি আরব নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আমাদের সঙ্গে কখনও খারাপ ব্যবহার করা হয়নি। মে মাসে ভারতে ফিরে আসার পর আমাদের ওনাকে মাসাজ করে দিতে বলেন, তারপরই আমাদের ধর্ষণ করেন, অস্বাবাবিক যৌনমিলনে বাধ্য করেন। এরপর থেকে রোজই ওনার বন্ধুদের হাতে অত্যাচারিত হতে ছেড়ে দিতেন আমাদের," জানান মেয়ে।
মাইকি ভারত স্বেচ্ছাসেবী সমস্থার সদস্য বালকৃষ্ণণ পাণ্ডে সংবাদ সংস্থা আইএএনএস জানান ওই বাড়িতে আরও এক মহিলা কাজ করতেন। কিন্তু তিনি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। ৬ মাস আগে নেপালে এক মহিলা সৌদি আরবে মোটা মাইনের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মা ও মেয়েকে দিল্লি নিয়ে আসেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিস জানিয়েছে ওই কৃটনীতিক ও কিছু অচেনা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ডিএলএফ-২ থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ডি (গণধর্ষণ), ৩৭৬ (ধর্ষণ), ৩৭৭ (অস্বাভাবিক যৌনমিলন) ও ৩৪২, ৩২৩, ১০২ বি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অন্যদিকে, অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছে সৌদি আরব দূতাবাস।