পাকিস্তান থেকে এসেই ভারতীয় নাগরিকত্ব! এবার পঞ্চায়েত প্রধান হওয়ার পথে নীতা
শ্বশুর ঠাকুর লক্ষ্মণ করণ তাঁর অনুপ্রেরণা। লক্ষ্ণণ করণ তিনবার পঞ্চায়েত প্রধান হয়েছেন। পুত্রবধূকে সাহস জুগিয়েছেন তিনিই।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০১৯ সালটা তাঁর কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রায় ১৮ বছর আগে তিনি এদেশে এসেছিলেন সুশিক্ষা ও সুপাত্রের খোঁজে। তার পর এতগুলো বছর কেটে গিয়েছে। অবশেষে ২০১৯-এ তিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব পেলেন। পাকিস্তান থেকে চলে আসা নীতা কানোয়াল এখন শিক্ষিতা। ১৭ জানুয়ারি নীতা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান হওয়ার জন্য লড়বেন। এনআরসিসি, সিআরএ নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত উত্তাল অবস্থা। তার মাঝে নীতার এমন খবর অবশ্যই বিরল।
শ্বশুর ঠাকুর লক্ষ্মণ করণ তাঁর অনুপ্রেরণা। লক্ষ্ণণ করণ তিনবার পঞ্চায়েত প্রধান হয়েছেন। পুত্রবধূকে সাহস জুগিয়েছেন তিনিই। নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য নীতা প্রায় তিন বছর ধরে কঠিন লড়াই চালিয়েছেন। যোধপুরের নীতা শেষমেশ গত সেপ্টেম্বরে নাগরিকত্বের অধিকার পেয়েছেন। নীতার দিদি অঞ্জনা সোধাও একইসঙ্গ ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন। ১৮ বছর আগে এদেশে সুশিক্ষা পাওয়ার জন্য পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ থেকে চলে এসেছিলেন নীতা। তার পর এদেশেই বিয়ে হয় তাঁর।
আরও পড়ুন- মর্মান্তিক! পুলিসের চাকরি পেয়েই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল মেয়ে, বাইরে অপেক্ষায় রইল বাবা
নীতার বাবা স্বরূপ সিং এবং ভাই রাজাওয়ান্ত সিং সোধা এখনও পাকিস্তানে রয়েছেন। ওখানেই কৃষিকাজ করেন তাঁরা। তবে তাঁর মা মোহন যোধপুরে চলে এসেছিলেন। তিন বছর নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য ছোটাছুটি করেছেন নীতা। শেষমেশ সাফল্য পাওয়ায় বেজায় খুশি তিনি। নীতা বললেন, ''এতদিন পর আমি এদেশের নাগরিকত্ব পেলাম। আমার শ্বশুরমশাই ও স্বামী আমার পাশে থেকেছেন সব সময়। জীবনের সেরা সময় আমার এটা।''