ইউপিএ থেকেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে চায় এনসিপি
ইউপিএ জোটের অন্দরে সঙ্কট অব্যাহত। জোট ছাড়ার কথা প্রকাশ্যে না বললেও ক্ষোভ প্রকাশে লাগাম টানছে না এনসিপি। আজ মুম্বইয়ে দলীয় নেতা প্রফুল প্যাটেল বলেন, দিল্লিই হোক বা মহারাষ্ট্র, কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁদের জোটে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে।
ইউপিএ জোটের অন্দরে সঙ্কট অব্যাহত। জোট ছাড়ার কথা প্রকাশ্যে না বললেও ক্ষোভ প্রকাশে লাগাম টানছে না এনসিপি। আজ মুম্বইয়ে দলীয় নেতা প্রফুল প্যাটেল বলেন, দিল্লিই হোক বা মহারাষ্ট্র, কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁদের জোটে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। তবে, এনসিপি-র সঙ্গে সমস্যা আলোচনার মাধ্যমেই মিটে যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেছে কংগ্রেস শিবির।
দিল্লি ও মহারাষ্ট্র, দু-জায়গাতেই কংগ্রেস শাসিত সরকারের শরিক এনসিপি। তবে, রাজ্যই হোক বা কেন্দ্র, কংগ্রেসের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ দলীয় নেতা শরদ পওয়ার। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় তাঁকে দু-নম্বর জায়গা ছাড়তে নারাজ কংগ্রেস। কেন্দ্রে সরকার থেকে এনসিপি বেড়িয়ে গেলে তার প্রভাব পড়বে মহারাষ্ট্রের রাজ্য রাজনীতির সমীকরণেও। সেক্ষেত্রে সঙ্কটে পড়তে পারে মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস-এনসিপি জোট সরকারও।
দুর্নীতি-সহ নানা অভিযোগে জেরবার মহারাষ্ট্রে এনসিপি-র মন্ত্রীরা। কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চৌহানও তাঁর এই সহকর্মীদের সেভাবে রেয়াত করছেন না। সব মিলিয়ে রীতিমতো চটে রয়েছেন মারাঠা স্ট্রংম্যান। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে বেরিয়ে আসতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি। গতকাল শরদ পাওয়ারের তথা মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী ভাইপো অজিত পাওয়ারও তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন কংগ্রেসকে।
এই পরিস্থিতিতে শনিবার, মুম্বইয়ে এনসিপি নেতা প্রফুল প্যাটেল বলেন, তাঁরা ইউপিএ ছাড়ছেন না। তবে, কেন্দ্র বা রাজ্য কোনও জায়গাতেই সরকার চালানোর ক্ষেত্রে কংগ্রেস তাঁদের মতামতকে গুরুত্ব দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। আলোচনার মাধ্যমেই এনসিপি-র সঙ্গে তাদের সমস্যা মিটে যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেছে কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে সোমবার, বৈঠকে বসছে এনসিপি`র শীর্ষ নেতৃত্ব। শরদ পাওয়ারের দল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ছাড়ছে কিনা, ওই বৈঠকের পরই তা স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।