সিধুর মন্তব্যে উত্তাল পঞ্জাব বিধানসভা, ক্ষমা প্রার্থনার দাবি তুলল এনডিএ সঙ্গী অকালি

গত বৃহস্পতিবার পুলওয়ামায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় ৪০ জওয়ানের। এ ঘটনার দায় স্বীকার করে পাকিস্তান মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ

Updated By: Feb 18, 2019, 02:36 PM IST
সিধুর মন্তব্যে উত্তাল পঞ্জাব বিধানসভা, ক্ষমা প্রার্থনার দাবি তুলল এনডিএ সঙ্গী অকালি
ছবি-টুইটার

নিজস্ব প্রতিবেদন: কংগ্রেস বিধায়ক নভজ্যোত সিং সিধুর সম্প্রতি পুলওয়ামা হামলার মন্তব্যের জেরে সোমবার উত্তাল হল পঞ্জাব বিধানসভা। অকালি দলের নেতা বিক্রম সিং মাজিতার নেতৃত্বে বিধায়করা সিধুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান বিধানসভার বাইরে। পোড়ানো হয় পাক সেনা প্রধান বাজোয়ার সঙ্গে সিধুর ছবিও। বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে বিধানসভা কক্ষেও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে অকালি দলের বিধায়করা। সিধুর ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান তাঁরা। প্রশ্নোত্তর পর্বে শুরু করতে না পারায় দু’পক্ষকেই একাধিকবার সতর্ক করেন  অধ্যক্ষ। কিন্তু উত্তেজনা এতটাই চরমে ওঠে অকালি বিধায়ক মাজিতার সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন নভজ্যোত সিং সিধু। তিনি বলেন, পাকিস্তান সম্পর্কে যা বলেছি, তাতে কোনও ভুল নেই।

আরও পড়ুন- লক্ষ্য মোদীর বারাণসী! কুম্ভ সেরেই নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন প্রিয়ঙ্কা

গত বৃহস্পতিবার পুলওয়ামায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় ৪০ জওয়ানের। এ ঘটনার দায় স্বীকার করে পাকিস্তান মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। এর পরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একের পর এক পদক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছে ভারতকে। ‘মোস্ট ফেভারড নেশন’ তকমা তুলে নেওয়া হয়। পাকিস্তান থেকে আমদানি পণ্যের উপর ২০০ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়। দেশের শাসক-বিরোধী দলও পাকিস্তানকে কাঠগড়ায় দাঁড় করায়। সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তানকে কড়া পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যখন সব মহলই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরব, তখন ফের উল্টো পথে হাঁটতে দেখা যায় প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা কংগ্রেস নেতা নভজ্যোত সিং সিধুকে। কার্যত ইমরান খানের সুরেই এ ঘটনায় সিধু প্রতিক্রিয়া দেন, প্রমাণ ছাড়াই একটা দেশ এবং ব্যক্তিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে। সন্ত্রাসের কোনও দেশ, ধর্ম বা জাত হয় না। এমনকি হিংসার পথে না গিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার পরামর্শ দিতে শোনা যায় সিধুকে।

আরও পড়ুন- এখনও চলছে সেনা অভিযান, পুলওয়ামায় খতম মাসুদ ঘনিষ্ঠ কামরান-রশিদ!

পুলওয়ামা হামলার পর ভারতের অভিযোগ অস্বীকার করে ইমরান খানের সরকার। পাকিস্তানের তরফে বলা হয়, ভারতের সরকার এবং সংবাদমাধ্যম যে ভাবে প্রমাণ ছাড়াই দোষারোপ করছে, তা নিন্দনীয়।

এ দিন এনডিএ সঙ্গী অকালি দল দাবি করে, পাকিস্তানের সেনা প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করবে কি না সেই অবস্থান স্পষ্ট করুক কংগ্রেস এবং পঞ্জাব সরকার। সিধু এখনও তাঁর মন্তব্যে অনড় বলে জানান অকালি বিধায়ক মাজিতা। উল্লেখ্য, গত বছর ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রী শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সিধুর উপস্থিতিতে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়। শুধুই তাই নয়, পাক সেনা প্রধান কামার জাভেদ বাজোয়ার সঙ্গে আলিঙ্গনও করেন তিনি।

 

.