এমন রেহাই মেলে না প্রতিবার
প্রতিবছর ভারতে বন্যা, ভূমিকম্প, সাইক্লোনসহ নানান প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃত্যু হয় কয়েক হাজার মানুষের। জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষিজমি ও ব্যাপক প্রভাব পড়ে জাতীয় সড়কগুলিতেও। সুনামি থেকে থেকে শুরু করে সাইক্লোন, কখনও বা ভূমিকম্পের তীব্র কম্পন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ভয়াল রূপ প্রত্যক্ষ করেছেন অসহায় মানুষ।
প্রতিবছর ভারতে বন্যা, ভূমিকম্প, সাইক্লোনসহ নানান প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃত্যু হয় কয়েক হাজার মানুষের। জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষিজমি ও ব্যাপক প্রভাব পড়ে জাতীয় সড়কগুলিতেও। সুনামি থেকে থেকে শুরু করে সাইক্লোন, কখনও বা ভূমিকম্পের তীব্র কম্পন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ভয়াল রূপ প্রত্যক্ষ করেছেন অসহায় মানুষ।
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বরের পর ২০১২ সালের ১১ এপ্রিল। ফের ফিরে এল ভয়াবহ সুনামির স্মৃতি। ভারতসহ সারা বিশ্বের মোট ২৮টি দেশে জারি করা হয় সুনামি সতর্কতা। আন্দামান নিকোবর, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ-সহ ভারতের উপকূলবর্তী রাজ্যগুলিতে সুনামি সতর্কতা জারি করা হলেও পরে তা তুলে নেওয়া হয়। শুধুমাত্র সুনামি নয়, পরিসংখ্যান বলছে বন্যা থেকে শুরু করে অতিবৃষ্টি, ধস, ভূমিকম্প, সাইক্লোনসহ নানান প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে প্রাণহানির সংখ্যা কিছুটা কমলেও তেমন কমেনি ক্ষয়ক্ষতির পরিমান।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৯-১০ সালে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃত্যু হয়েছিল ১,৬৭৭ জনের। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ৪৭.১৩ লক্ষ হেক্টর কৃষিজমি। ২০১০-১১ সালে মৃত্যু হয় ১,৯৫২ জনের। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ২৪.৮৯ লক্ষ হেক্টর কৃষিজমি। ২০১১ সাল থেকে ২০১২ সালের পয়লা মার্চ পর্যন্ত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃত্যু হয় ১,৫৫৩ জনের। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষিজমির পরিমান পৌঁছয় ১৮.৮৭ লক্ষ হেক্টরে।
শুধুমাত্র প্রাণহানি বা জনজীবন বিপর্যস্তই নয় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে বারবারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের জাতীয়সড়ক গুলি। ২০১১-১২ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বন্যা-সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে পশ্চিমবঙ্গে ২, ৬, ৩১, ৩১ সি, ৩২, ৩৪, ৩৫, ৫৫, ৬০, ৬০ এ ও ৮১ নম্বর জাতীয়সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাস্তায় ফাটল, গর্ত হওয়া ছাড়াও ধস নামার ফলে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই জাতীয় সড়কগুলি।
২০০৮ সালের বন্যায় বিহারের কোশী নদীর গতিপথই বদলে যায়। সবমিলিয়ে প্রাকৃতিক বিপর্যয় বারবারই জানান দিয়েছে তার ভয়াবহ উপস্থিতি।