নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হলে খুশি হব, হাসি মুখে বললেন আডবাণী
এই কথাটাই শুনতে চাইছিলেন গুজরাত মুখ্যমন্ত্রী। তারই তোড়জোড় চোখে পড়ছিল গোটা আহমেদাবাদ জুরে। ধর্মনিরপেক্ষতার প্রসঙ্গ টেনে মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ লালকৃষ্ণ আডবাণী। তিনি বলেন, "মোদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলে আমি খুশি হব।" সমস্ত মান-অভিমান ভুলে গিয়ে এই প্রথম বার জনসমক্ষে 'মোদী মন্ত্র' আওড়ালেন বিজেপি লৌহপুরুষ। স্বস্তিতে নেতৃত্ব।
এই কথাটাই শুনতে চাইছিলেন গুজরাত মুখ্যমন্ত্রী। তারই তোড়জোড় চোখে পড়ছিল গোটা আহমেদাবাদ জুরে। ধর্মনিরপেক্ষতার প্রসঙ্গ টেনে মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ লালকৃষ্ণ আডবাণী। তিনি বলেন, "মোদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলে আমি খুশি হব।" সমস্ত মান-অভিমান ভুলে গিয়ে এই প্রথম বার জনসমক্ষে 'মোদী মন্ত্র' আওড়ালেন বিজেপি লৌহপুরুষ। স্বস্তিতে নেতৃত্ব।
স্বস্তির কারণ, দীর্ঘ দিন ধরে চলা দুই নেতার ঠাণ্ডা লড়াইয়ের অবসানের ইঙ্গিত দেখছেন অনেকে। বর্ষীয়ান নেতার কথায়, মোদীর গুজরাত মডেল শুধু দেশেই নয় বিদেশেও প্রশংসিত। তিনি বলেন, "গুজররাত মুখ্যমন্ত্রী নেতৃত্বে প্রতিবার নতুন চমক দেওয়ার চেষ্টা করেন।"
মোদীকে ২০১৪ নির্বাচনের প্রধানমন্ত্রী প্রদপ্রার্থী ঘোষণা করার পর গুজরাতে প্রথমবার এক মঞ্চে মোদী-আডবাণী। নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদীকে নির্বাচনী মুখ ঘোষণা করার পর অখুশি আডবাণী দল ছেড়েছিলেন। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শীর্ষ পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর। নিজেকে দলের সংসদীয় বোর্ডের বৈঠক থেকে দূরে রেখেছেন। এই নিয়ে বিস্তর জলঘোলাও হয়েছে। সে বার আলোচনা করে কোনওরকমে বরফ গলাতে সমর্থ হয়েছিলেন সুষমা স্বরাজরা। যদিও প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর মোদী ছুটে গিয়েছিলেন সেই আডবাণীর বাড়িতেই।
আর এদিন গুজরাতের মাটিতে আডবাণীকে স্বাগত জানাতে সমস্ত জোর খাটিয়ে ছিলেন মোদী। আতিথেয়তায় কোনও খামতি রাখেননি। এদিন একসঙ্গে দেখাযায় আডবাণী-মোদীকে। করলেন রুদ্ধদ্বার বৈঠক। আমেদাবাদ পুরসভার একটি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে লালকৃষ্ণ আডবাণীকে।
গতমাসেও ভোপালে বিজেপির সমাবেশে এক মঞ্চে দেখা গিয়েছিল এই দুই নেতাকে। কিন্তু, সেখানে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কোনও কথাই বলেননি আডবাণী। তারপর আজ দু`জনের রুদ্ধদ্বার বৈঠক। তবে, এই বৈঠকে তাতপর্যপূর্ণভাবে উপস্থিত ছিলেন কেশুভাই প্যাটেল। নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বিরোধের জেরে গতবছরই বিজেপি ছেড়ে নতুন দল তৈরি করেছেন কেশুভাই।