১৯৬২ -এর পরে 'সবচেয়ে গুরুতর' লাদাখ পরিস্থিতি, মেনে নিলেন জয়শঙ্কর!

তাহলে কি ৫৮ বছরের পর ভারত-চিন সীমান্তে শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ হলো মোদী সরকার!

Edited By: সোমনাথ মিত্র | Updated By: Aug 27, 2020, 05:11 PM IST
১৯৬২ -এর পরে 'সবচেয়ে গুরুতর' লাদাখ পরিস্থিতি, মেনে নিলেন জয়শঙ্কর!
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন:  ১৯৬২-এর পর "সবচেয়ে গুরুতর পরিস্থিতি" তৈরি হয়েছে পূর্ব লাদাখে। ৫৮ বছর আগের ভারত ও চিনের যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে এমনই মন্তব্য করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

জয়শঙ্কর বলেন, "৪৫ বছর পরে সীমান্তে কোনও সামরিক হতাহতের এতবড় ঘটনা ঘটেছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার দুপাশে উভয় পক্ষের যে সংখ্যক সেনা মোতায়েন রয়েছে তাও নজিরবিহীন।"

মে মাস থেকে উত্তপ্ত লাদাখ সীমান্ত। গালোয়ানে ভারত ও চিনের সংঘর্ষে প্রাণহানির খবর মিলেছে দুই পক্ষ থেকেই। তারপরেও একাধিক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হলেও রফাসূত্র মেলেনি। ভারতের ভূখণ্ড দখল করে নিয়েছে PLA, এমনও চাঞ্চল্যকর দাবি তুলেছিল বিরোধীরা। তবে কেন্দ্র বারবার বুঝিয়ে দিয়েছিল চিনের পাল্টা দিতে ছাড়েনি ভারতীয় সেনা। কিন্তু মোদীর বিদেশমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী ১৯৬২ এর যুদ্ধের পর এটাই "সবচেয়ে গুরুতর পরিস্থিতি।" তাহলে কি ৫৮ বছরের পর ভারত-চিন সীমান্তে শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ হলো মোদী সরকার! এ প্রশ্নও কিন্তু জয়শঙ্করের কাছে ব্যুমেরাংয়ের মতো ফেরত পাঠাচ্ছেন রাজনৈতিক  বিশেষজ্ঞরা।

তবে বিদেশমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী ভারত স্পষ্ট ভাবেই চিনকে জানিয়েছে সীমান্ত এলাকায় শান্তিই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ভিত্তি। এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন গত দশকে ফিরে তাকালে দেখা যাবে, ডেপসাং, চুমার ও ডোকলাম সীমান্তে একাধিকবার সীমান্ত পরিস্থিতি কূটনীতির মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছে।

"আমরা চিনের সঙ্গে সামরিক ও কূটনৈতিক দুই ভাবেই বোঝাপড়ার চেষ্টা করছি।" তাঁর বই ''The India Way: Strategies for an Uncertain World'' প্রকাশের আগে সংবাদমাধ্যমকে একথা জানিয়েছেন জয়শঙ্কর।

আরও পড়ুন: 'নির্দিষ্ট সম্প্রদায় টার্গেট হয়ে যাবে', মহরমের তাজিয়ায় নিষেধাজ্ঞা সুপ্রিম কোর্টের

.