এনসিটিসি-র বিরোধিতায় সরব মোদী

তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, এনডিএ শরিক জনতা দল (ইউনাইটেড)-এর নীতীশ কুমার, তৃতীয় ফ্রন্টের নেতা, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক ও তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা এআইএডিএমকে নেত্রী জয়ললিতার পর এবার জাতীয় সন্ত্রাস দমন কেন্দ্র (এনসিটিসি)-র বিরোধিতায় সরব হলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Updated By: Feb 19, 2012, 01:00 PM IST

তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, এনডিএ শরিক জনতা দল (ইউনাইটেড)-এর নীতীশ কুমার, তৃতীয় ফ্রন্টের নেতা, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক ও তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা এআইএডিএমকে নেত্রী জয়ললিতার পর এবার জাতীয় সন্ত্রাস দমন কেন্দ্র (এনসিটিসি)-র বিরোধিতায় সরব হলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
রবিবার এনসিটিসি-র সমালোচনা করে মোদী বলেন, ``রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে আলোচনা না করেই এনসিটিসি-র সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউপিএ সরকার। রাজ্যের ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করতে চাইছে কেন্দ্র।`` কেন্দ্রকে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করারও দাবি জানিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, এনসিটিসি-র বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-কে একটি চিঠিতে মোদি জানান, কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোয় আঘাত হানছে। গুজরাটে অপরাধ দমন করতে, গুজরাট কন্ট্রোল অফ অর্গানাইজ ক্রাইম অ্যাক্টের দাবি গত ৫ বছর ধরে জানিয়ে আসার পরেও এখনও তা কার্যকর হয়নি। কিন্তু কেন্দ্র কয়েকদিনের মধ্যেই এনসিটিসি গঠনের নির্দেশিকা জারি করে দিল।
২০০৮ সালের ২৬/১১ নাশকতার পর সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে এনসিটিসি-র মতো একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সংস্থা তৈরির প্রস্তাব দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম। নর্থ ব্লকের তৈরি রূপরেখা অনুযায়ী সন্ত্রাসবাদী তত্‍পরতা সম্পর্কিত আগাম গোয়েন্দা-তথ্য সংগ্রহ, সম্ভাব্য জঙ্গি হামলা প্রতিরোধী অপারেশন চালানো এবং নাশকতা-পরবর্তী তদন্ত- এই ৩টি দায়িত্বই দেওয়া হবে নবগঠিত এনসিটিসি-কে। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ও রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে এনসিটিসি-র ছাতার তলায় নিয়ে আসা হবে। আগামী ১ মার্চ থেকে এনসিটিসি-র কাজ শুরু করার কথা। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এ ব্যাপারে একটি নির্দেশিকাও জারি হয়েছে।

.