বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন মোদী, চন্দ্রবাবুর অনশন মঞ্চ থেকে বার্তা রাহুলের

অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু এ দিন বলেন, এখনও পর্যন্ত অন্ধ্রকে বিশেষ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে কেন্দ্র

Updated By: Feb 11, 2019, 12:34 PM IST
বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন মোদী, চন্দ্রবাবুর অনশন মঞ্চ থেকে বার্তা রাহুলের
ছবি-টুইটার

নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর রাজধানীতে অনশনে বসলেন অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু। অন্ধ্র প্রদেশ ভবনের সামনে আজ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অনশনে বসেছেন চন্দ্রবাবু নায়ডু। ইতিমধ্যে তাঁকে সমর্থন জানাতে উপস্থিত হয়েছেন ন্যাশনাল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান তথা প্রবীণ নেতা ফারুক আবদুল্লা, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। সমর্থন দিতে পৌঁছে গিয়েছেন রাহুলও।

আরও পড়ুন- এই ইভিএম থাকলে লন্ডনেও পদ্ম ফোটাতে পারবে বিজেপি, গেরুয়া শিবিরকে নিশানা শিবসেনার

অনশন মঞ্চ থেকে অন্ধ্র প্রদেশের মানুষের পাশে থাকার বার্তা দেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। এ দিন নরেন্দ্র মোদীকে একহাত নিয়ে রাহুল বলেন, এ কেমন প্রধানমন্ত্রী? অন্ধ্রের মানুষের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা পূরণ করেননি। যেখানেই যান মিথ্যে কথা বলেন। বিশ্বাসযোগ্যাতার নামমাত্র নেই তার। গত কাল নায়ডুর রাজ্যে গিয়ে তাঁকেই তুলোধনা করে আসেন নরেন্দ্র মোদী। ব্যক্তিগত আক্রমণও শানান তিনি। গুন্টরে মোদী বলেন, চন্দ্রবাবু অন্ধ্র প্রদেশে ‘সান রাইজ’ (সূর্যোদয়) হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কিন্তু এখন সান (পুত্র)-কে রাইজ করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। চন্দ্রবাবু তাঁর শ্বশুরের (এন টি রাম রাও) পিছনে ছুরি মারার অভিযোগ করে বিশ্বাসঘাতক তকমা দেন মোদী। ব্যক্তি আক্রমণে পিছু-পা হননি চন্দ্রবাবু নায়ডুও। তিনি বলেন, “পরিবারকে সম্মান করেন না তিনি। তিন তালাক বিরোধী আইন এনে মুসলিম মহিলাদের ন্যায় দিতে চাইছেন এ দিকে নিজের স্ত্রীকে (যশোদাবেন) এখনও ডিভোর্স দেননি।”

আরও পড়ুন- স্কুলে প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ পড়ুয়ারা, হাসপাতালে ভর্তি ৪০

অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু এ দিন বলেন, এখনও পর্যন্ত অন্ধ্রকে বিশেষ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে কেন্দ্র। ২০১৪ সালে অন্ধ্র ভেঙে তেলেঙ্গানা গঠন হয়। বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কেন্দ্র। মোদী সরকারের বঞ্চনার অভিযোগ এনে ২০১৮ সালে এনডিএ থেকে বেরিয়ে আসে টিডিপি। সেই দাবিতেই আজ অনশনে বসেছেন চন্দ্রবাবু। অন্ধ্রভবনে দলীয় কর্মীদের বার্তা দেন, “যদি আমাদের দাবি পূরণ না করেন তা হলে কীভাবে আদায় করতে হয় তা আমরা জানি। অন্ধ্রের মানুষের মর্যাদার প্রশ্ন। তাতে আঘাত লাগলে আমরা সহ্য করব না।”

.