প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ মোদী, ইস্তফা দিয়েই বিস্ফোরক উপেন্দ্র কুশওয়াহা
তাঁর অভিযোগ, বিহারের মানুষের জন্য কোনও প্রতিশ্রুতি পালন করনেনি নরেন্দ্র মোদী। বিহারকে স্পেশ্যাল প্যাকেজ দেওয়া হবে বলা হয়েছিল। কিন্তু তা দেওয়া হয়নি। ফলে বিহারের অবস্থা আগে যা ছিল, তাই আছে। একটুও বদল হয়নি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন উপেন্দ্র কুশওয়াহা। বিহারের রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টির (আরএলএসপি) সভাপতি সরাসরি জানালেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রত্যাশাপূরণে ব্যর্থ হয়েছেন মোদী।
কয়েকমাস পরই লোকসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচন কী হতে পারে, তার ইঙ্গিত মিলতে পারে আগামিকাল। এক্সিট পোলের ইঙ্গিত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে ভরাডুবি হতে পারে বিজেপির।
আরও পড়ুন: ২০১৯-এর আগে এনডিএ-তে ফের ফাটল, মন্ত্রিত্বে ইস্তফা দিয়ে জোট ছাড়ার পথে উপেন্দ্র কুশওয়াহা
তার আগেই সোমবার আরও ধাক্কা খেল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। এদিন সকালেই ন্যাশনাল ডেমক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ)-এর বৈঠকে যেতে অস্বীকার করেন উপেন্দ্র কুশওয়াহা। তিনি যেহেতু বেশ কয়েকদিন ধরেই মোদী বিরোধিতায় সরব হচ্ছেন, তাই মনে করা হচ্ছিল সোমবারই তিনি এনডিএ-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবেন।
শেষপর্যন্ত সেটাই হয়েছে। উপেন্দ্র কুশওয়াহা মোদীর মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তারপর নয়াদিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে এনডিএ ছাড়ার ঘোষণা করেন। সেখানেই তিনি একের পর এক মোদী ও বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন: ফলাফল বেরনোর আগেই ৩০ হাজার ব্যবধানে জয়ী গেহলট! কংগ্রেসের পোস্টারে তুমুল বিতর্ক
তাঁর অভিযোগ, বিহারের মানুষের জন্য কোনও প্রতিশ্রুতি পালন করনেনি নরেন্দ্র মোদী। বিহারকে স্পেশ্যাল প্যাকেজ দেওয়া হবে বলা হয়েছিল। কিন্তু তা দেওয়া হয়নি। ফলে বিহারের অবস্থা আগে যা ছিল, তাই আছে। একটুও বদল হয়নি।
কুশওয়াহা এদিন বিরোধীদের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। সেই বৈঠক যোগ দেওয়ার আগেই তিনি মোদী-বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছেন। একের পর বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, মোদী সরকার সাধারণ মানুষকে লুঠ করছে। আর তাঁর দলকে ভাঙার চেষ্টা করছে। মোদী সরকার আরএসএসের এজেন্ডার উপর কাজ করছে।
আরও পড়ুন: তেলঙ্গানায় সরকার তৈরির ‘মূল কারিগর’ হবে বিজেপিই, দাবি গেরুয়া শিবিরের
নরেন্দ্র মোদীর সরকারে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী কুশওয়াহার সঙ্গে মূলত ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিহারে আসন সমঝোতা নিয়ে বিরোধ বেঁধেছে। তাঁর তরফে বিহারে বিজেপি ও নীতীশ কুমারের জেডিইউ-এর জোট নিয়ে বারবার আপত্তি তোলা হয়েছে।
কুশওয়াহার দলের সাংসদের সংখ্যা তিন। ফলে তাঁরা বেরিয়ে যাওয়ায় এনডিএ-র সাংসদ সংখ্যায় খুব বেশি হেরফের হবে না। কিন্তু ধাক্কা খেল বিজেপি। কারণ, সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে আরও একটা জোট শরিক হারালে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়তে হবে কেন্দ্রের শাসক দলকে।
আরও পড়ুন: বাজার খুলতেই সেন্স হারালো সেনসেক্স, দর কমল টাকার, ব্যাপক পতন বিশ্ব বাজারেও
তাত্পর্যপূর্ণভাবে ২০১৪ সালে যখন এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসে, তখন সব মিলিয়ে সাংসদ ছিল ৩৩৬ জন। তার পর কখনও শরিক বিচ্ছেদ, কখনও ভোটে হার নানা কারণে কমেছে সেই সংখ্যা। সব শেষে তা পৌঁছেছে ৩১০-এ। এবার সেই সংখ্যা আরও কমে গেল।