উরি হামলার পর ভারতের জবাব কী হবে? রাজনাথ, পারিকর, জেটলির সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে মোদী
উরিতে হামলার পর দেশের একটা অংশে দাবি উঠছে পাকিস্তানের বিরদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যারা ঘৃণ্য হামলা চালিয়েছে তাদের কঠোর শাস্তি পেতে হবে। এখন প্রশ্ন উরি হামলার পর কেন্দ্র সরকার কী করবে।
ওয়েব ডেস্ক: উরিতে হামলার পর দেশের একটা অংশে দাবি উঠছে পাকিস্তানের বিরদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যারা ঘৃণ্য হামলা চালিয়েছে তাদের কঠোর শাস্তি পেতে হবে। এখন প্রশ্ন উরি হামলার পর কেন্দ্র সরকার কী করবে। এই বিষয়েই আলোচনার জন্য রেস কোর্স রোডের বাসভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পারিকর, ও অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গেসঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। এদিকে, জম্মু কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহেবুবা মুফতি উরি হামলায় আহত জওয়ানদের দেখতে হাসপাতালে গেলেন। তার আগে, নিরাপত্তা সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই বৈঠকে রয়েছেন BSF এবং CRPF-এর DG।
আরও পড়ুন- উরি হামলার পর রামদেব কী বললেন শুনেছেন
এদিকে, উরিতে জঙ্গি হানার জেরে অনিশ্চিত সার্ক সম্মেলন। নভেম্বর নয় ও দশ তারিখ ইসলামাবাদে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন। সেই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থাকবেন কি না তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর নওয়াজ শরিফের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে এগোনোর একাধিক উদ্যোগ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর শপথে আমন্ত্রিত ছিলেন সার্কভুক্ত দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানরা। তারপর দুবাই থেকে দেশের ফেরার পথে একবার পাকিস্তানে ঝটিকা সফর করেন মোদী। উদ্দেশ্য ছিল শরিফকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো। কিন্তু, কয়েকমাস আগে শরিফের হার্ট অপারেশনের পরেই বদলে যায় পরিস্থিতি। প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে পাকিস্তানে ফের মাথা তুলেছে মোল্লাতন্ত্র। ISI ও সেনাবাহিনীও দাঁতনখ বের করেছে। তাদের চাপেই কাশ্মীর নিয়ে উস্কানিমূলক বয়ান দিতে বাধ্য হচ্ছেন শরিফও। সব মিলিয়ে সঙ্কটজনক পরিস্থিতি।
উরির সেনা ছাউনিতে জঙ্গি হামলার ধাক্কায় হতবাক দিল্লি।