বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় রামকৃপালের হাত কাটতে চেয়েছিলেন লালু-কন্যা

দল বদলানোয় অনেক রাজনৈতিক নেতাকেই কটূকথা শুনতে হয় পুরনো দলের কর্মী-সমর্থকদের কাছ থেকে। তা বলে পুরনো শীর্ষ নেতৃত্ব দল বদলানো কোনও নেতার হাত কেটে নেওয়ার কথা ভাবছেন এমন কি হতে পারে! অবিশ্বাস্য হলেও এমনই তথ্য সামনে এসেছে।

Updated By: Jan 19, 2019, 09:35 AM IST
বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় রামকৃপালের হাত কাটতে চেয়েছিলেন লালু-কন্যা

নিজস্ব প্রতিবেদন: দলবদল। ভারতীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। দল বদলানোয় অনেক রাজনৈতিক নেতাকেই কটূকথা শুনতে হয় পুরনো দলের কর্মী-সমর্থকদের কাছ থেকে।

আরও পড়ুন: ভারতের কড়া জবাবে চাপে পাকিস্তান, নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে বাড়ছে সেনা মোতায়েন

তা বলে পুরনো শীর্ষ নেতৃত্ব দল বদলানো কোনও নেতার হাত কেটে নেওয়ার কথা ভাবছেন এমন কি হতে পারে! অবিশ্বাস্য হলেও এমনই তথ্য সামনে এসেছে। আর তা সামনে এনেছেন তিনি, যিনি এমন ভয়ানক বিষয়টি ভেবেছিলেন।

তিনি মিশা ভারতী। আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের কন্যা। তিনি নিজেই এই দাবি করেছেন। তাঁর দাবি, আরজেডি নেতা রামকৃপাল যাদব যখন বিজেপিতে যোগদান করেন, তখন তাঁর মনে হয়েছিল ওই দলত্যাগী নেতার হাত কেটে নেবেন।

আরও পড়ুন: জমে উঠেছে রাজনীতির খেলা, কর্ণাটকে শক্তিপ্রদর্শন করতে গিয়ে 'রুগ্ন' কংগ্রেস

তিনি বলেন, ''তাঁকে (রামকৃপাল যাদব) আমরা খুব শ্রদ্ধা করতাম। কিন্তু যেদিন তিনি সুশীলকুমার মোদীর সঙ্গে হাত মেলালেন, তখন থেকেই ওঁকে আর শ্রদ্ধা করি না। সেই সময় মনে হয়েছিল ওঁর হাতটা কেটে ফেলি।''

রামকৃপাল যাদব একসময় লালুপ্রসাদ যাদবের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। কিন্তু ২০১৪ সালে পাটলিপুত্র লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়াকে কেন্দ্র করে তাঁর সঙ্গে লালুর বড় মেয়ের মিশার সঙ্গে লড়াই শুরু হয়। তার জেরেই আরজেডি ছাড়েন মিশার 'চাচা' রামকৃপাল। যোগদান করেন বিজেপিতে।

আরও পড়ুন: মার্চের প্রথম সপ্তাহেই লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন

সেই লড়াই অবশ্যই মিশা ভারতীর জন্য সুখকর হয়নি। পাটলিপুত্র লোকসভা কেন্দ্রে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মুখোমুখি লড়াই হয়েছিল চাচা-ভাতিজির। সেই লড়াইয়ে মিশাকে হারিয়ে পাটলিপুত্রের সাংসদ হন রামকৃপাল যাদব।

.