পাথর বৃষ্টি-পাল্টা টিয়ার গ্যাস, বাড়ি ফেরা নিয়ে সুরাটে খণ্ডযুদ্ধ পুলিস-পরিযায়ী শ্রমিকদের
পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে যখন পুলিস পৌঁছায়, তখনই ক্ষিপ্ত পরিযায়ী শ্রমিকরা পুলিসকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সুরাট পুলিস।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশে করোনার দ্রুত সংক্রমণের মাঝেই ফের গুজরাটে পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধল পরিযায়ী শ্রমিকদের। বিভিন্ন রাজ্যের এই শ্রমিকরা সুরাটে মূলত টেক্সটাইল শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। যত দ্রুত সম্ভব বাড়ি ফিরতে চান তাঁরা, এই দাবি নিয়েই বরেলীর একটি বাজারে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে যখন পুলিস পৌঁছায়, তখনই ক্ষিপ্ত পরিযায়ী শ্রমিকরা পুলিসকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সুরাট পুলিস। বরেলীর এই বাজার ছাড়াও বাড়ি ফেরার দাবি নিয়ে সুরাটের পলনপুর পাতিয়া অঞ্চলেও একই দিনে বিক্ষোভ দেখান সেখানে আটকে থাকা বাকি শ্রমিকরা। অশান্তির পর দুটি জায়গাতেই বিপুল পুলিস বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
আরও পড়ুন:আগামী ৭ মে থেকে ঘরে ফেরানো হবে বিদেশে অসহায় ভারতীয়দের : কেন্দ্রতবে বাড়ি ফেরার জন্য পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতিবাদ নতুন নয়। লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই কাজ হারিয়ে ভিন রাজ্যে আটকে গিয়েছেন তাঁরা। অনেকেই কয়েক হাজার কিলোমিটার পায়ে হেঁটেও বাড়ি ফেরার দু:সাহস দেখিয়েছেন। পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে গিয়ে রাস্তাতেই প্রাণ হারিয়েছেন বহু পরিযায়ী শ্রমিক।
এক সপ্তাহ আগেই সুরাটে একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিকের বাড়ির সামনে একই দাবিতে প্রতিবাদ দেখিয়েছিলেন কয়েকশো শ্রমিক। ফের আবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। কেন্দ্রীয় সরকার, পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার জন্য ট্রেনের ব্যবস্থা করবে, এমন আশ্বাস মিললেও সেখানে দেখা দিয়েছে নতুন সমস্যা। তাই যতদিন না তাঁরা বাড়ি ফিরছেন ততদিন চিন্তা থেকেই যাচ্ছে। সে প্রক্রিয়া যাতে দ্রুত ত্বরান্বিত হয়, সে জন্যই হয়তো রাস্তায় নেমেছেন তাঁরা। এমনটাও মনে করছেন বিশ্লেষকরা।