মানসিক স্বাস্থ্য বিলে বাদ যেতে পারে শক ট্রিটমেন্ট

নতুন মানসিক স্বাস্থ্য বিল থেকে বাদ দেওয় বাদ দেওয়া হতে পারে ইলেকট্রিক শক ট্রিটমেন্ট। সরকারের তরফে প্রস্তাবিত মানসিক স্বাস্থ্য বিলে বলা হয়েছে, মানসিক সমস্যায় ভোগা রোগীদের নিজেদের চিকিত্সার পদ্ধতি নিজেদেরই বেছে নিতে দেওয়া হোক। সেইসঙ্গেই অ্যানাসথেশিয়া ছাড়া যাতে ইলেকট্রিক শকের মাধ্যমে চিকিত্সা না করা হয় তার প্রস্তাবও রাখা হয়েছে বিলে। গত সপ্তাহেই ইউনিয়ন ক্যাবিনেটে পাস হয়েছে বিল। ভারতের স্বাস্থ্য সচিব কে দাসিরাজু এ দিন একথা জানান। সংসদে বিল পাস হলে কম খরচায় ভাল মানের চিকিত্সার আধিকার পাবেন রোগীরা।

Updated By: Jun 16, 2013, 10:18 PM IST

নতুন মানসিক স্বাস্থ্য বিল থেকে বাদ দেওয় বাদ দেওয়া হতে পারে ইলেকট্রিক শক ট্রিটমেন্ট। সরকারের তরফে প্রস্তাবিত মানসিক স্বাস্থ্য বিলে বলা হয়েছে, মানসিক সমস্যায় ভোগা রোগীদের নিজেদের চিকিত্সার পদ্ধতি নিজেদেরই বেছে নিতে দেওয়া হোক। সেইসঙ্গেই অ্যানাসথেশিয়া ছাড়া যাতে ইলেকট্রিক শকের মাধ্যমে চিকিত্সা না করা হয় তার প্রস্তাবও রাখা হয়েছে বিলে। গত সপ্তাহেই ইউনিয়ন ক্যাবিনেটে পাস হয়েছে বিল। ভারতের স্বাস্থ্য সচিব কে দাসিরাজু এ দিন একথা জানান। সংসদে বিল পাস হলে কম খরচায় ভাল মানের চিকিত্সার আধিকার পাবেন রোগীরা।
সমীক্ষা অনুযায়ী ভারতের মোট জনসংখ্যার এক থেকে দুই শতাংশ মানুষ স্কিত্জোফ্রনিয়া বা বাইপোলার ডিজঅর্ডারের মত অসুখে ভোগেন। পাঁচ শতাংশ মানুষের ডিপ্রেশন ও অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডারের মত সাধারণ মানসিক সমস্যা রয়েছে। এক সিনিয়র স্বাস্থ্য আধিকারিকের বক্তব্য অনুযায়ী, ভারতে ক্রমবর্ধমান মানসিক সমস্যাকে মাথায় রেখে নতুন বিলে প্রগতিশীল মানসিক চিকিত্সা নিয়ে আসার চিন্তাভাবনা করা হয়েছে। উনি বলেন, "মেন্টাল হেলথ অ্যাক্ট ১৯৮৭তে মানসিক চিকিত্সার ক্ষেত্রে চিকিত্সকের হাতেই সমস্ত ক্ষমতা দেওয়া ছিল। কিন্তু নতুন বিলের প্রস্তাবে চিকিত্সার ক্ষেত্রে রোগীর ইচ্ছাকেই সবার আগে গুরুত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে।"
অন্যদিকে, মানসিক চিকিত্সকরা মনে করছেন এর ফলে রোগীদের দীবনের ঝুঁকি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ম্যাক্স হাসপাতালের সাইকিয়াট্রি বিভাগের প্রধান সমীর মালহোত্রা বলেন, "মানসিক ভাবে অসুস্থ অবস্থায় মানুষের বিচারবুদ্ধি লোপ পায়। সেই সময় রোগীর ওপর নির্ভর করলে তা অনেকসময় ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।" মানসিক ভাবে অসুস্থ মানুষরা অনেকসময়ই সমাজের নিষ্ঠুরতা, অমানবিকতার স্বীকার হয়। সেক্ষেত্রে যাতে রোগীরা আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেন তার প্রস্তাবও রাখা হয়েছে বিলে। এছাড়াও সুস্থ হয়ে যাওয়ার পর রোগীদের পূর্ণবাসনের জন্য কমিউনিটি কেয়ারিং সেন্টার, মানসিক হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রোগীদের ৩০ দিন অন্তর রিভিউয়ের জন্য মেন্টাল হেলথ রিভিউ কমিশন গঠন ও দরিদ্রদের জন্য বিনা খরচায় চিকিত্সার প্রস্তাবও রয়েছে বিলে।

.