সীমান্তে ভারতীয় ভূখণ্ডে দখলদারি করেনি চিন, মার্কিন রিপোর্ট খারিজ করে জানাল নয়াদিল্লি
নিরাপত্তা সুনিশ্চিত রাখতে ভারত নিরবচ্ছিন্ন নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে বলেও আশ্বস্ত করেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতীয় ভূখণ্ডে দখলদারি করেনি চিন। বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের রিপোর্ট উড়িয়ে দিয়ে একথা জানাল ভারতের বিদেশমন্ত্রক। তবে সীমান্ত বরাবর নিজেদের ভূখণ্ডে তারা পরিকাঠামো নির্মাণ করছে বলে স্বীকার করে নিয়েছে নয়াদিল্লি।
ভারতীয় ভূখণ্ড করে দখল করে চিন বেআইনি নির্মাণ করছে বলে দাবি করা হয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের রিপোর্ট। তা খারিজ করে কেন্দ্র জানিয়েছে, ভারত-চিন সীমান্ত এলাকায় নির্মাণের কথাই বলা হয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন,''কয়েক দশক ধরে সীমান্তে বেআইনিভাবে অধিকৃত ভূমিতেই নির্মাণকার্য চালাচ্ছে চিন। ভারত কখনই চিনের অনুপ্রবেশ মেনে নেয়নি, না তো তাদের অন্যায় দাবিও মেনেছে।''
বেজিংয়ের কূট-কৌশলের মোকাবিলায় নয়াদিল্লিও যে তৈরি তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বাগচি। তিনি জানান,''সীমান্তে পরিকাঠামো নির্মাণ বাড়িয়েছে ভারত। রাস্তা, সেতু ইত্যাদি তৈরি করা হচ্ছে। এতে সীমান্ত এলাকায় স্থানীয়দের যাতায়াতের সুবিধা হচ্ছে।''
নিরাপত্তা সুনিশ্চিত রাখতে ভারত নিরবচ্ছিন্ন নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে বলেও আশ্বস্ত করেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র। বলেন,''অরুণাচল-সহ সমস্ত সীমান্ত এলাকায় রাস্তা-ঘাটের মতো পরিকাঠামোর নির্মাণ করে সেখানকার বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে বদ্ধপরিকর সরকার। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যথাবিহিত পদক্ষেপ করা হচ্ছে।''
অতিসম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসের বার্ষিক রিপোর্ট পেশ করে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে তিব্বসের স্বাশাসিত অঞ্চল ও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতের অরুণাচলে ১০০টি 'নাগরিক গ্রাম' তৈরি করেছে চিন। অরুণাচলের ওই জায়গাটি ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে পড়ে। অথচ সীমান্তে অচলাবস্থার জন্য ভারতকে কাঠগড়ায় তুলছে বেজিং। ভারতীয় সেনাকে ক্রমাগত উস্কানি দিয়ে চলছে। ভারত সেনা না সরানো পর্যন্ত বাহিনী প্রত্যাহারে নারাজ বলেও জানিয়েছে চিন।
আরও পড়ুন- UP: নির্যাতিত বাঙালি হিন্দু উদ্বাস্তুদের ঘর, চাষ জমি দেওয়ার ঘোষণা Yogi-র