মাওবাদীদের হাত ধরেছে আইএসআই, জানাচ্ছে গোয়েন্দা রিপোর্ট

নিরাপত্তা বাহিনীর লাগাতার অভিযানে কাশ্মীর এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির কার্যকলাপ অনেকটাই স্তিমিত হয়ে পড়েছে। গোয়েন্দা তত্‍পরতার কারণে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন বা সিমি`র মতো গোষ্ঠীগুলিও সেভাবে সক্রিয়তা দেখাতে পারছে না।

Updated By: Mar 1, 2012, 05:00 PM IST

নিরাপত্তা বাহিনীর লাগাতার অভিযানে কাশ্মীর এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির কার্যকলাপ অনেকটাই স্তিমিত হয়ে পড়েছে। গোয়েন্দা তত্‍পরতার কারণে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন বা সিমি`র মতো গোষ্ঠীগুলিও সেভাবে সক্রিয়তা দেখাতে পারছে না। এই পরিস্থিতিতে ভারতে নাশকতার জাল বিস্তার করার জন্য মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলেছে পাক গুপ্তচরসংস্থা আইএসআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগের সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে উঠে এসেছে এই তথ্য।
মায়ানমারে গোপন ঘাঁটি আলফার কমান্ডার-ইন-চিফ পরেশ বরুয়া মাওবাদী-আইএসআই যোগসূত্র তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন বলে জানান হয়েছে এই গোপন রিপোর্টে। ঢাকা এবং চট্টগ্রাম এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত আইএসআই এজেন্ট মহম্মদ আসলাম ভারতের মাওবাদী নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার মূল দায়িত্বে রয়েছে।
আইবি-র দাবি, দেশের বড় শিল্পকেন্দ্র ও পরিকাঠামো ক্ষেত্রের উপর আঘাত হানার জন্য মাওবাদীদের নিয়মিতভাবে অর্থ এবং অস্ত্রসাহায্য করছে পাক গুপ্তচর সংস্থা। আলফা এবং কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন (কেএলও) জঙ্গিদের সাহায্যে আরডিএক্স, ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস, অটো টাইমারের মতো নাশকতার সরঞ্জাম তুলে দেওয়া হচ্ছে মাওবাদী গেরিলা বাহিনী পিএলজিএ-র হাতে। বুড়িশোলের জঙ্গলে যৌথবাহিনীর অভিযানে মৃত্যুর আগে মাওবাদী সংগঠনের `সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশন`-এর প্রধান কিষেনজি নিজে অসমে গিয়ে আলফা এবং কেএলও-র সঙ্গে সমন্বয় তৈরির বিষয়টি তত্ত্বাবধান করেছিলেন।
ভারতে অস্থিরতা তৈরির দায়িত্বে থাকা আইএসআই-এর এলিট `ফ্রন্ট ডেস্ক`-এর তরফে চিন সীমান্ত লাগোয়া মায়ানমারের সাইনগং এলাকায় আলফার শিবিরে মাওবাদী জঙ্গিদের নাশকতার প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও উল্লিখিত হয়েছে এই আইবি রিপোর্টে।

.