সন্ধি প্রস্তাবে সংশয় কেন্দ্রের, রাজ্যের অবস্থান জানতে চেয়ে চিঠি
মাওবাদীদের সন্ধি প্রস্তাব নিয়ে সম্পূর্ণ অন্ধকারে কেন্দ্র। অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে গোটা বিষয়টির দিকে নজর রাখছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে চিঠি লিখে এনিয়ে "পরিষ্কার ছবি' পাঠাতে বলেছে পি চিদম্বরমের দফতর। মাওবাদীদের প্রস্তাব নিয়ে রাজ্য সরকার কী ভাবছে তাও স্পষ্ট করতে বলা হয়েছে ওই চিঠিতে। গত ৪ অক্টোবর, অষ্টমীর দিন মাওবাদীদের তরফে বিবৃতির মাধ্যমে সন্ধিপ্রস্তাব দেওয়া হয়।
মাওবাদীদের সন্ধি প্রস্তাব নিয়ে সম্পূর্ণ অন্ধকারে কেন্দ্র। অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে গোটা বিষয়টির দিকে নজর রাখছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে চিঠি লিখে এনিয়ে "পরিষ্কার ছবি' পাঠাতে বলেছে পি চিদম্বরমের দফতর। মাওবাদীদের প্রস্তাব নিয়ে রাজ্য সরকার কী ভাবছে তাও স্পষ্ট করতে
বলা হয়েছে ওই চিঠিতে। গত ৪ অক্টোবর, অষ্টমীর দিন মাওবাদীদের তরফে বিবৃতির মাধ্যমে
সন্ধিপ্রস্তাব দেওয়া হয়। বলা হয়, সরকার জঙ্গলমহলে যৌথ বাহিনীর অভিযান বন্ধ রাখলে এক মাসের জন্য অস্ত্রসংবরণ করবে মাওবাদীরা। চিঠিতে সই ছিল সিপিআই মাওবাদীদের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক আকাশ এবং সরকারের তরফে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিয়োজিত সুজাত ভদ্র ও ছোটন দাসের।
৩ দিন কেটে গেলেও মাওবাদীদের প্রস্তাব নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। রাজ্য এনিয়ে কী ভাবছে তাও স্পষ্ট হয়নি এমনকি এই চিঠি আদৌ গ্রহনযোগ্য কিনা তা নিয়েও সরকার কোনও বিবৃতি দেয়নি। সম্ভবত এই কারণেই কেন্দ্র বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে, চিঠি লিখে এনিয়ে রাজ্যের অবস্থান জানাতে বলা হয়েছে। সূত্র জানাচ্ছে, মাওবাদীদের প্রস্তাব নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য কেন্দ্রকে জানায়নি রাজ্য সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কাছ থেকে এখন তাই উত্তরের অপেক্ষায়।
মাওবাদীরা সন্ধিপ্রস্তাব জানিয়ে যে চিঠি পাঠিয়েছিল, তা মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদন পেয়েছে কিনা তা নিয়েও সন্দিহান কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের একজন অফিসারের বক্তব্য, "মাওবাদীদের সন্ধিপ্রস্তাব নিয়ে আমাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, দেখা যাক মাওবাদীরা সত্যিই কী চায় এবং রাজ্য সরকারই বা এনিয়ে কী ভাবছে''। এর আগে মাওবাদীদের শান্তি প্রস্তাব নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশে কেন্দ্রের যা অভিজ্ঞতা হয়েছিল এবারও সেই বিষয়টিকে মাথায় রাখছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কেন্দ্রের বক্তব্য দুহাজার চার সালে মাওবাদী এবং কেন্দ্রের মধ্যে অস্ত্রসংবরণ ঘোষিত হওয়ার সুযোগ নিয়ে মাওবাদীরা তাদের শক্তিবৃদ্ধি করে। ক্যাডার নিয়োগ, তাদের প্রভাবিত এলাকায় ল্যান্ডমাইন রাখার মত রণকৌশল নিয়েছিল। অন্যদিকে মাওবাদীদের দাবি, সেসময় আলোচনার নাম করে ডেকে এনে তাদের বহু শীর্ষ নেতাকে হত্যা করেছে সরকার
সাম্প্রতিক কালে মাওবাদী নেতা আজাদের মৃত্যুর পরেও এই বিতর্ক নতুন করে দানা বাঁধে।