Exclusive: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ছকের পিছনে কারা? উমর-মেবানির কী যোগ?
পুণে পুলিসের এফআইআরের কপি হাতে এসেছে জি মিডিয়ার। আর তাতে স্পষ্ট, দলিতদের উস্কে হিংসা ছড়ানোই ছিল মাওবাদীদের আসল উদ্দেশ্য।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে মাওবাদীরা। তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। কীভাবে ষড়যন্ত্রের ছক কষল মাওবাদীরা?
পুণে পুলিসের এফআইআরের কপি হাতে এসেছে জি মিডিয়ার। আর তাতে স্পষ্ট, দলিতদের উস্কে হিংসা ছড়ানোই ছিল মাওবাদীদের আসল উদ্দেশ্য। আর তাতে যোগ রয়েছে 'শহুরে মাওবাদীদের'। ৩১ ডিসেম্বর ভীমা-কোরেগাঁওয়ের অনুষ্ঠান 'এলগার পরিষদে' ছিলেন দলিত নেতা তথা গুজরাটের বিধায়ক জিগনেশ মেবানি ও জেএনইউ-এর ছাত্র নেতা উমর খলিদ। গোষ্ঠী সংঘর্ষের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ (এ), ৫০৫ ও ১৭৭ ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিস। সেদিন উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়েছিলেন তাঁরা। বলেছিলেন, 'ওদের আগে হামলা করতে হবে।'
বিশ্রামবাগ পুলিস তদন্তে জানতে পেরেছে, ওই দিন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন জনৈক সুধীর ঢালভে। পরে তাঁর সঙ্গে মাওবাদী যোগের খোঁজ মেলে। সেদিন বিতর্কিত কবিতাপাঠ করেছিলেন এই ঢালভে।
নকশাল আদর্শে প্রভাবিত এই ঢালভের সঙ্গে যোগ রয়েছে জেএনইউ-র পিএইচডিপ্রাপ্ত রোনা জ্যাকব উইলসন ও আইনজীবী সুরেন্দ্র গাডলিং। নকশাল কাজকর্মে যোগ রয়েছে এই দুজনের। গতবছর গাদচিরোলিতে হিংসার ঘটনাতেও জড়িয়েছে রয়েছেন তাঁরা।
নিষিদ্ধ সিপিআই-মাওবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত পাঁচজনকে বুধবার গ্রেফতার করে পুলিস। ভীমা-কোরেগাঁও জাতি হিংসায় এই পাঁচজনের যোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিস। ধৃতরা হলেন, দলিত নেতা সুধীর ধাওয়ালে, আইনজীবী সুরেন্দ্র গাডলিং, মহেশ রউত, সোমা সেন ও রোনা উইলসন। রোনা উইলসনের ঘর থেকে চিঠি উদ্ধার হয়েছে। ৮ কোটি টাকায় এম-৪ রাইফেল ও চার লক্ষ রাউন্ড গুলি কেনা এবং রাজীব গান্ধীর মতো ঘটনার কথা উল্লেখ রয়েছে চিঠিতে। পড়ুন বিস্তারিত- রাজীব গান্ধীর মতো মোদীকে হত্যার ছক মাওবাদীদের! ফাঁস চিঠিতে