ভীমা-কোরেগাঁও হিংসায় মাওবাদীদের সঙ্গে কংগ্রেসের যোগ, খবর পুলিস সূত্রে

অভিযুক্ত সমাজকর্মীদের হেফাজতে নেওয়ার পর কংগ্রেস নেতাদের সমন পাঠানো হবে বলে খবর। 

Updated By: Sep 1, 2018, 05:09 PM IST
ভীমা-কোরেগাঁও হিংসায় মাওবাদীদের সঙ্গে কংগ্রেসের যোগ, খবর পুলিস সূত্রে

নিজস্ব প্রতিবেদন: ভীমা কোরেগাঁও হিংসার ঘটনার তদন্তে উঠে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য। মহারাষ্ট্র পুলিস সূত্রে খবর, শহুরে মাওবাদী শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে কংগ্রেসের। ২০১৭ সালের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত দুজন কংগ্রেস নেতার একাধিক বৈঠক করেছেন মাওবাদী নেতারা। 

মুম্বই ও দিল্লিতে কংগ্রেসের নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয়েছে মাওবাদী নেতৃত্বের। বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারের জন্য কংগ্রেসের থেকে আইনি ও আর্থিক সাহায্য চেয়েছেন তাঁরা। পুলিস সূত্রে খবর, নিজেদের মধ্যে গোপন কথা বলার জন্য প্রক্সি মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেছেন মাওবাদী ও কংগ্রেস নেতারা।

কোন দুই কংগ্রেস নেতার সঙ্গে শহুরে মাওবাদীদের যোগ ছিল? এব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছে মহারাষ্ট্র পুলিস। অভিযুক্ত সমাজকর্মীদের হেফাজতে নেওয়ার পর কংগ্রেস নেতাদের সমন পাঠানো হবে বলে খবর। বলে রাখি, ইতিমধ্যে জি নিউজের হাতে এসেছে বেশ কিছু চিঠিপত্র। ওই চিঠিগুলিতে কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে মাওবাদী নেতারা।

মহারাষ্ট্রের এডিজি পরমবীর সিং সাংবাদিক বৈঠকে বলেন,''ধৃত সমাজকর্মীদের সঙ্গে মাওবাদী যোগের প্রমাণ রয়েছে। দেশজুড়ে অশান্তি ছড়িয়ে বর্তমান সরকারকে ফেলে দেওয়ার ছক কষেছে মাওবাদীরা''।

ভীমা-কোরেগাঁও হিংসার ঘটনা প্রসঙ্গ তুলে সাংবাদিক বৈঠকে মহারাষ্ট্র পুলিসের এডিজি পরমবীর সিং বলেন, ''২০১৭ সালের ৩১ জানুয়ারি ঘৃণামূলক ভাষণ দেওয়া হয়েছিল। ৮ জানুয়ারি ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগ দায়ের হয় মামলা। শুরু হয় তদন্ত। সব অভিযুক্তই কবীর কালা মঞ্চের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন''। তিনি আরও বলেন, ''বর্তমান সরকারকে ফেলে দেওয়া ও  আইনশৃঙ্খলার ব্যাঘাত ঘটানোই ছিল তাদের লক্ষ্য। সরকার ফেলতে সমাজকর্মীদের নিয়ে দেশজুড়ে একটা মঞ্চ তৈরির চেষ্টা করছে মাওবাদীরা। ভামী-কোরেগাঁওয়ের পর হিংসা ছড়াতে ক্যাডারদের ১৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিল কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মাওবাদ)''।

সমাজকর্মীদের ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই প্রসঙ্গে সিং বলেন, ''অভিযুক্তদের উপস্থিতিতেই সমস্ত প্রমাণ সংগ্রহ করেছে পুলিস। করা হয়েছে ভিডিওগ্রাফি''। সমাজকর্মী ও মাওবাদীদের মধ্যে কয়েক হাজার চিঠিপত্র বিনিময় হয়েছে বলেও জানিয়েছে মহারাষ্ট্র পুলিস। এডিজি-র কথায়, ''কমরেড প্রকাশকে চিঠি লিখেছিলেন সুধা ভরদ্বাজ। সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারের ব্যাপারে জোর দিয়েছিলেন তিনি। সুধা দাবি করেছিলেন, শত্রুদের বিরুদ্ধে দ্রুতগতিতে কাজ চলছে। প্রকাশের কাছ থেকে আর্থিক সহযোগিতাও চেয়েছিলেন সুধা'। তাঁর সংযোজন, জুনে ধৃত রোনা উইলসনের পাসওয়ার্ডযুক্ত যন্ত্র থেকে হাজারের বেশি নথি উদ্ধার করা হয়েছে। রাজীব গান্ধীর মতো মোদী রাজ শেষ করার জন্য এক মাওবাদী নেতা সঙ্গে ইমেল চালাচালিও হয়েছিল রোনার। গ্রেনেড লঞ্চার কেনার জন্য চাওয়া হয়েছিল অর্থ।    

চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার বামপন্থী সমাজকর্মী ভারভারা রাও, ভার্নান গোঞ্জালভেসস অরুণা ফেরিয়াস সুধা ভরদ্বাজ ও গৌতম নভলেখাকে গ্রেফতার করে পুলিস। গতবছর ৩১ ডিসেম্বর 'এলগার পরিষদ' সম্মেলনের সঙ্গে জড়িতদের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়।

আরও পড়ুন- প্রত্যাশা ছাপিয়ে রেকর্ড আর্থিক বৃদ্ধি, দ্রুত বৃদ্ধিপ্রাপ্ত অর্থনীতিতে চিনকে পিছনে ফেলল ভারত

.