মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী. দূর থেকে পায়ের কাছে একরত্তি সন্তানকে ছুড়ে দিলেন বাবা! এবং...
জনতার ভিড়ের মধ্যে মঞ্চ থেকে এক ফুট দূরে গিয়ে পড়ে এক বছরের শিশুটি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত নিরাপত্তারক্ষীরা সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে মায়ের হাতে তুলে দেন। প্যাটেলের এই পদক্ষেপে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী চৌহান তাঁর অভাব-অভিযোগ জানতে পেরেছেন। প্যাটেল ঘটনাস্থলে উপস্থিত আধিকারিকদের জানান, তার ছেলের হার্টে ছিদ্র রয়েছে এবং তার এমন চিকিৎসা দরকার যা তাদের পক্ষে করা সম্ভব নয়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় নিজের সন্তানকেই তাঁর সামনে ছুড়ে ফেলে দিলেন এক ব্যক্তি। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান যখন সাগরে একটি জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন তখন এক শ্রমিক তাঁর ১ বছরের শিশুকে মঞ্চে ছুড়ে দেন। শিশুটির জীবন বাঁচানোর জন্যই বাবার এই প্রচেষ্টা। পেশায় শ্রমিক মুকেশ প্যাটেল নিজের দুর্দশার কথা মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে চেয়েছিলেন, তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছিলেন। রবিবারের অনুষ্ঠানে প্যাটেলের এই পদক্ষেপ যেমন আলোড়ন তুলেছে তেমনই মুখ্যমন্ত্রী চৌহানের নজরও কেড়েছিল বিষয়টি।
আরও পড়ুন, Jonmani Rabha Died: নিজের বয়ফ্রন্ডেকেও অ্যারেস্ট করেছিলেন, দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন এই লেডি সিংঘম
জনতার ভিড়ের মধ্যে মঞ্চ থেকে এক ফুট দূরে গিয়ে পড়ে এক বছরের শিশুটি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত নিরাপত্তারক্ষীরা সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে মায়ের হাতে তুলে দেন। প্যাটেলের এই পদক্ষেপে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী চৌহান তাঁর অভাব-অভিযোগ জানতে পেরেছেন। প্যাটেল ঘটনাস্থলে উপস্থিত আধিকারিকদের জানান, তার ছেলের হার্টে ছিদ্র রয়েছে এবং তার এমন চিকিৎসা দরকার যা তাদের পক্ষে করা সম্ভব নয়। সেই বার্তা পৌঁছয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে, শিবরাজ চৌহান সেই পরিবারকে সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন।
মুখ্যমন্ত্রী চৌহান জেলাশাসক দীপক আর্যকে মুকেশের বিষয়টি সিএম হাউসে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। সাগরের কেশলি তহসিলের সহজপুর গ্রামের বাসিন্দা মুকেশ প্যাটেল। সেখানে স্ত্রী নেহা এবং তাদের এক বছরের ছেলেকে নিয়ে থাকেন মুকেশ। তিনি জানান, ৩ মাস বয়স থেকে ছেলের হার্টে ছিদ্র খুঁজে পেয়েছিলেন চিকিৎসকরা। ছেলের চিকিৎসার জন্য এখনও পর্যন্ত ৪ লক্ষ টাকারও বেশি খরচ হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
আমার ছেলের বয়স এখন এক বছর। ডাক্তার আমাদের অস্ত্রোপচার করতে বলেছেন। এতে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ হবে। এত বড় অঙ্কের টাকা আদায় করা আমাদের পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব নয়। আমরা চাই আমাদের সন্তানের চিকিৎসা হোক, কিন্তু কেউ আমাদের সাহায্য করছে না। মুখ্যমন্ত্রী চৌহানের কাছ থেকে কিছু সাহায্য পাওয়ার আশা করছেন মুকেশ।