বর্ষীয়ান মহিলাকে বিকৃত যৌনাচারে বাধ্য করা, ধর্ষণ, ২২ বছরের জেল তান্ত্রিকের
সংবাদ সংস্থা: ৬০ বছরের এক মহিলাকে বাড়িতে ডেকে পাঠানো। তাঁকে বাধ্য করা বিকৃত যৌনাচারে লিপ্ত হতে। এরপর তাঁকে বারবার ধর্ষণ। ধর্ষক 'বাবা' রাম রহিমকেও ছাপিয়ে গেল এই তান্ত্রিকের কীর্তি। দুই সাধ্বীকে ধর্ষণের অভিযোগে রাম রহিমের ২০ বছরের জেল হয়েছে। কিন্তু তার থেকেও ঘৃণ্য কাজ করায় এই তান্ত্রিকের সাজা সেই মেয়াদকেও ছাপিয়ে গেল। মহেশ চন্দ্র নামে ওই তান্ত্রিককে ২২ বছরের হাজতবাসের নির্দেশ দিল মথুরার ফাস্ট ট্যাক আদালত।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ২০১৬ সালে জুলাই মাসে মহেশ চন্দ্র এক ৬০ বছরের মহিলাকে নানা অছিলায় বাড়িতে ডেকে আনে। অভিযোগ, ওই মহিলাকে তার সঙ্গে বিকৃত যৌনাচারে লিপ্ত হতে বাধ্য করে। এরপর বর্ষীয়ান ওই মহিলাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। নির্যাতিতা তাঁর বয়ানে জানিয়েছেন, অপশক্তি দূর করার কথা বলেই যৌনাচারে লিপ্ত হতে তাঁকে বাধ্য করেছিল মহেশ। ২২ নভেম্বর ওই মহিলা তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। মহেশ চন্দ্রকে গ্রেফতার করে পুলিস।
যদিও ওই মহিলার বিরুদ্ধেই পাল্টা অভিযোগ তুলেছে মহেশ। তার দাবি, মহিলার স্বামীকে ৩৫ হাজার টাকা ধার দিয়েছিল সে। সেই টাকা ফেরত চাওয়াতেই মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে তাকে। যদিও আদালতের কাছে তার সেই দাবি গৃহীত হয়নি।
ধর্ষণের অপরাধে মহেশ চন্দ্রকে ১৫ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে মথুরা ফাস্ট ট্র্যাক আদালত। বিকৃত যৌনতার জন্য ৬ বছর ও প্রতারণার জন্য ১ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ২২ হাজার টাকার জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩৩ মাস জেল খাটার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।