ঘুষকাণ্ডের তদন্তে নেমে মমতা জমানার ফাইল ঘাঁটা শুরু

রেলে ঘুষকাণ্ডের তদন্তে নেমে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ের ফাইলও ঘাঁটতে শুরু করল সিবিআই। আজ রেলের তরফে বদলি ও পদোন্নতি সংক্রান্ত চার বছরের যাবতীয় ফাইল সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ২০০৮ সালের ফাইলও রয়েছে। ওই সময় রেলমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা খুঁটিয়ে দেখছেন সেই সব ফাইল।

Updated By: May 13, 2013, 10:14 PM IST

রেলে ঘুষকাণ্ডের তদন্তে নেমে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ের ফাইলও ঘাঁটতে শুরু করল সিবিআই। আজ রেলের তরফে বদলি ও পদোন্নতি সংক্রান্ত চার বছরের যাবতীয় ফাইল সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ২০০৮ সালের ফাইলও রয়েছে। ওই সময় রেলমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা খুঁটিয়ে দেখছেন সেই সব ফাইল।
দুর্নীতি আর টাকার খেলা যে রেলের কতটা গভীরে শিকড় ছড়িয়েছে, রেলে ঘুষকাণ্ডের তদন্তে নেমে সিবিআই কর্তারা তা বুঝতে পারছেন।  উত্কোচের যে সংস্কৃতি রেলে প্রকট হয়েছে, তা থেকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা মোটামুটি একটি বিষয়ে নিশ্চিত, নৈতিক এই অবনমন শুধু সাম্প্রতিককালের ফসল নয়। দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসা  দুর্নীতি বাড়তে বাড়তে আজ এই জায়গায় পৌঁছেছে। তাই বদলি ও পদোন্নতি সংক্রান্ত কয়েক বছরের ফাইল রেলের কাছে চেয়ে পাঠায় সিবিআই। সোমবার রেলের তরফে গত চার বছরের ফাইল সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে।
তার মধ্যে রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানার ফাইলও রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর পিএ ছিলেন রতন মুখার্জি। অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি বা ওএসডির দায়িত্বে ছিলেন গৌতম সান্যাল। ঘুষকাণ্ডের তদন্তে ভবিষ্যতে ওই দুজনকে তলব করতে পারে সিবিআই।  প্রাক্তন রেলমন্ত্রী পবন বনসলের জমানার ওএসডি রাহুল ভাণ্ডারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকার লেনদেনে গড়মিল পেয়েছে সিবিআই। সিবিআই কর্তারা জানতে পেরেছেন, পবন বনসলের ভাগ্নে বিজয় সিঙ্গলা রেলের আটটি গুরুত্বপূর্ণ পদকে টাকার বিনিময়ে বিকিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন।
তার মধ্যে পঞ্জাবের কাপুরথালা জেলার কোচ ফ্যাক্টরির গরুত্বপূর্ণ পদ যেমন রয়েছে, তেমনই এরাজ্যের চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কসের উচ্চ পদও রয়েছে। সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, বিজয় সিঙ্গলা তাঁর পদের প্রভাব খাটিয়ে জনৈক দয়াল আর্যকে চিত্তরঞ্জন লোকো ওয়ার্কসের মেটিরিয়াল ম্যানেজমেন্ট ফাংশনের বিভাগীয় প্রধান করে দেন। এই অসাধু চক্রের রমরমা কী বনসলের আমল থেকেই? নাকি আরও অতীতে সিঁধিয়ে রয়েছে এই দুর্নীতির শিকড়? আপাতত তার সন্ধানেই কাজ চালাচ্ছে সিবিআই। তাই আনানো হয়েছে চার বছরের বদলি ও পদোন্নতি সংক্রান্ত ফাইল। আর সেই সূত্র ধরেই গোয়েন্দাদের আতসকাচের তলায় এসে পড়েছে রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানা।

.