West Bengal Vs Centre: শাহের ডাকা 'চিন্তন বৈঠকে' যাবেন না মমতা? ফের সংঘাত কেন্দ্র-রাজ্যের!
শুধু মমতা নন স্বরাষ্ট্র সচিব বি পি গোপালিকা বা ডিজিপি মনোজ মালব্যকে পাঠানো হবে না। তবে বৃহস্পতিবার থেকে চিন্তন শিবির-এ যোগ দেবেন রাজ্য পুলিসের অ্যাডিশনাল ডিজি (হোম গার্ড) নীরজ কুমার সিং।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে অমিত শাহর (Amit Shah) দু’দিনের বৈঠকে যোগ দেবেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। হরিয়ানার সূরজ কুণ্ডে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দুই দিনের নিরাপত্তা বিষয়ক বৈঠক ডেকেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রধানও বটে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক সূত্রে খবর, শুধু মমতা নন স্বরাষ্ট্র সচিব বি পি গোপালিকা বা ডিজিপি মনোজ মালব্যকে পাঠানো হবে না। তবে বৃহস্পতিবার থেকে চিন্তন শিবির-এ যোগ দেবেন রাজ্য পুলিসের অ্যাডিশনাল ডিজি (হোম গার্ড) নীরজ কুমার সিং। নতুন দিল্লির পশ্চিমবঙ্গে আবাসিক কমিশনার রামদাস মীনাও এই বৈঠকে যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন, Congress Steering Committee: কংগ্রেস সভাপতি হয়েই খার্গে গড়লেন স্টিয়ারিং কমিটি, জায়গা কি হল থারুরের?
ওই কর্মকর্তা সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছে, এখন উৎসবের সময় এবং বেশ কিছু অনুষ্ঠান রয়েছে। বৃহস্পতিবার ভাই ফোঁটা এবং শীঘ্রই 'ছট পুজো' রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে এই সময় রাজ্য ছেড়ে যাওয়া সম্ভব নয়। একই কারণে স্বরাষ্ট্র সচিব এবং ডিজিপি-রও চিন্তন শিবিরে অংশ নিতে পারবেন না। সাইবার ক্রাইমের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য গোটা দেশেই একটি নির্দিষ্ট নীতি অনুসরণ করা, ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ান, মহিলাদের সুরক্ষা, উপকূলীয় সুরক্ষা ও অন্যান্য অভ্যন্তরীন সুরক্ষা বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা- এই বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয়। ২৭ ও ২৮ অক্টোবর এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ 'চিন্তন শিবীর'-এর সভাপতিত্ব করবেন। যার লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় 'ভিশন ২০৪৭' এবং 'পঞ্চ প্রাণ' বাস্তবায়নের জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২৮ অক্টোবর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘চিন্তন শিবির’-এ ভাষণ দেবেন। ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে উন্নত করার লক্ষ্য অর্জনে 'নারী শক্তি'র ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাই মহিলাদের নিরাপত্তা এবং তাদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করার জন্য বিশেষ জোর দেওয়া হবে। জাতীয় নীতি প্রণয়ন ও উন্নয়ন পরিকল্পনা ও সমন্বয় সাধনর পথ প্রশস্ত করাই এ সম্মেলনের উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুন, এই IAS আর IPS অফিসারদের দেখলে অনেক অভিনেত্রী বা মডেলেরই হিংসা হবে!