দিল্লিতে বসে মমতা বুঝিয়ে দিলেন, মোদী বিরোধী আন্দোলনের ভরকেন্দ্র তিনিই
রাহুল ছিলেন। ছিল আরও আট রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। কিন্তু, দিল্লিতে বিরোধীদের বৈঠকে সবার নজর কাড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদীকে হুঁশিয়ারি দিলেন, ৫০দিনের মেয়াদ শেষে গদি ছাড়ুন। আগামিদিনে মোদী বিরোধী আন্দোলনের রূপরেখাও বাতলে দিলেন মমতা।
ওয়েব ডেস্ক : রাহুল ছিলেন। ছিল আরও আট রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। কিন্তু, দিল্লিতে বিরোধীদের বৈঠকে সবার নজর কাড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদীকে হুঁশিয়ারি দিলেন, ৫০দিনের মেয়াদ শেষে গদি ছাড়ুন। আগামিদিনে মোদী বিরোধী আন্দোলনের রূপরেখাও বাতলে দিলেন মমতা।
ইস্যু নোটবন্দি। টার্গেট মোদী। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে RBI।ফার্স্ট রাউন্ডে রাজধানীর বুকে একাই ঝড় তোলেন। দ্বিতীয় রাউন্ডেও ফোকাস কাড়লেন সেই দিদি। কংগ্রেসের ডাকে ৮ বিরোধী দলের বৈঠক। পরে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন। হাজির দেশের সব মিডিয়া। প্রত্যাশামতোই মোদীকে বেঁধেন কংগ্রেস সহসভাপতি। এতো আগেও বলেছেন। তেমন ঝাঁঝ কই? এবার ব্যাট ধরলেন মমতা। রাহুলকে পাশে বসিয়েই স্টেপ আউট। প্রথমেই ছক্কা। বুঝিয়ে দিলেন রাজনীতির পিচে তিনি অনেক পোড় খাওয়া ব্যাটসম্যান। হঁশিয়ারি দিলেন, মোদীর দেওয়া ৫০ দিনের মেয়াদ শেষ। এবার গদি ছাড়ুন প্রধানমন্ত্রী।
নতুন বছরে মোদী বিরোধী আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে চায় কংগ্রেস। কিন্তু, কোনপথে এগোবে আন্দোলন? পথ বাতলে দিলেন মমতাই, "অভিন্ন কর্মসূচি"। ডাক ছিল ১৬ দলের। বৈঠকে শেষপর্যন্ত হাজির আটটি দল। বাকিরা নেই কেন? তবে কি বিরোধী ঐক্যে ফাটল? জাতীয় মিডিয়ার অস্বস্তিকর ইয়র্কার সামাল দিলেন অনায়াস দক্ষতায়। সব দাবি খারিজ করে বললেন, "বিরোধীরা এককাট্টা'।
মঙ্গলবারই রোজভ্যালিকাণ্ডে ফের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছে CBI। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পাল্টা অ্যাটাকিং মোড। বললেন, "প্রমাণ নিয়ে প্রশ্ন করুন'। আগামিদিনে মোদী বিরোধী আন্দোলনের দিশা নির্দেশ থেকে বিরোধী ঐক্য কিংবা মোদীকে তোপ। রাহুল গান্ধী পাশে থাকলেও আগাগোড়া নজর কাড়লেন দিদি। জানিয়ে দিলেন নতুন বছরের গোড়ায় আরও দুটো বৈঠক করবেন বিরোধীরা। আর তা দিল্লিতে হবে না। দিল্লিতে বসে মমতা বুঝিয়ে দিলেন, মোদী বিরোধী আন্দোলনের ভরকেন্দ্র তিনিই। আগামিদিনে তাঁর হাত ধরেই মোদী বিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে যাবে দেশের প্রতিটি কোণায়।
আরও পড়ুন, আজকের বিরোধী বৈঠক কংগ্রেসের"ফ্লপ শো'