ভোটের আগেই বড়সড় ধাক্কা মধ্যপ্রদেশে, ৫৩ নেতাকে বহিষ্কার করল বিজেপি

গেরুয়া শিবিরের সবচেয়ে মাথাব্যাথার কারণ হল রাজ্যের দোমো আসনটি। সেখানে এবার লড়াই করছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী জয়ন্ত মালাইয়া

Updated By: Nov 15, 2018, 01:52 PM IST
ভোটের আগেই বড়সড় ধাক্কা মধ্যপ্রদেশে, ৫৩ নেতাকে বহিষ্কার করল বিজেপি

নিজস্ব প্রতিবেদন: দু’সপ্তাহও বাকি নেই বিধানসভা নির্বাচনের। এর মধ্যেই একপ্রকার বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন রাজ্যের ৫৩ বিজেপি নেতা। মুখ বাঁচাতে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিল দল।

আরও পড়ুন-পরকীয়ায় জড়িয়ে স্ত্রী! সন্দেহে ঘরে বন্দি করে খুনের চেষ্টা স্বামীর

আগামী ২৮ নভেম্বর রাজ্যের ২৩০ বিধানসভায় একদফায় ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। বুধবার ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। দলের হুইপ অগ্রাহ্য করে মনোনয়ন দাখিল করে দিয়েছিলেন ওইসব বাগি নেতারা। ফলে বুধবার তাদের বহিষ্কার করল রাজ্য বিজেপি।

বিদোহী ওইসব নেতাদের তালিকায় রয়েছে বড়বড় নাম। রয়েছেন রাজ্যার প্রাক্তন মন্ত্রী রামকৃষ্ণ কুশমারিয়া, সরতাজ সিং, কে এল আগরওয়াল। এছাড়াও রয়েছেন ৩ জন প্রাক্তন বিধায়ক ও ২ জন প্রাক্তন মেয়র। ফলে ভোটের আগে যথেষ্টই বিপাকে রাজ্যে বিজেপি।

গেরুয়া শিবিরের সবচেয়ে মাথাব্যাথার কারণ হল রাজ্যের দোমো আসনটি। সেখানে এবার লড়াই করছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী জয়ন্ত মালাইয়া। আর তাঁর বিরুদ্ধে লড়াই করছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও বর্তমানে বিদ্রোহী রামকৃষ্ণ কুশমারিয়া। পাশের আসন পাঠারিয়া নিয়েও চিন্তিত বিজেপি।

সম্প্রতি টিকিট না পাওয়ায় প্রকাশ্যে কান্নাকাটি করেন রাজ্যের বরিষ্ঠ নেতা সরতাজ সিং। সেনাই-মালও আসনের ওই প্রার্থীকে শেষপর্যন্ত লুফে নেয় কংগ্রেস। তাঁকে হোসেঙ্গাবাদ আসন থেকে দাঁড় করানো হয়েছে। অন্যদিকে কুশমারিয়া হোমো আসনে লড়াই করছেন নির্দল হিসেবে।

আরও পড়ুন-বোনের সঙ্গে বন্ধুর প্রেম, মানতে পারেনি দাদা, ডেকে আনল নৃশংস পরিণতি

বিজেপি রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছে গোয়ালিয়রের প্রাক্তন মেয়র সমীক্ষা গুপ্তা-সহ লতা মেহসাকি, ধীরাজ পাতেরিয়া, রাজকুমার যাদবকে। সমীক্ষা গুপ্তা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন তিনি পার্টি ছাড়ছেন। লড়াই করবেন নির্দল হিসেবে।

বিদ্রোহর আঁচ কংগ্রসের শিবিরেও। তাদেরও ১২ নেতা দলের বিরুদ্ধে মনোনয়ণ পত্র দাখিল করেছেন। দুদলের কাছেই বিষয়টি খুবই মাথাব্যাথার কারণ রাজ্যের ৩০টি আসন রয়েছে যেখানে বিজেপি-কংগ্রেস লড়াই হাড্ডাহাড্ডি। ফলে বিদ্রোহ ভোগাবে দুদলকেই। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

 

.