পাক বায়ুসেনা ব্যবহৃত চিনা বিমানের ছবি সরকারি বিজ্ঞাপনে
ফের বিজ্ঞাপনী বিভ্রাটের গেরোয় ইউপিএ সরকার! এবার গাফিলতির অভিযোগ খোদ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিরুদ্ধে! গত ৪ ডিসেম্বর `জাতীয় নৌসেনা দিবস` উপলক্ষে দেশের নানা সংবাদপত্রে পাতা জোড়া বিজ্ঞাপন দিয়েছিল ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জনসংযোগ শাখা। আর এখানেই ঘটেছে গুরুতর গোলমাল।
ফের বিজ্ঞাপনী বিভ্রাটের গেরোয় ইউপিএ সরকার! এবার গাফিলতির অভিযোগ খোদ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিরুদ্ধে!
গত ৪ ডিসেম্বর `জাতীয় নৌসেনা দিবস` উপলক্ষে দেশের নানা সংবাদপত্রে পাতা জোড়া বিজ্ঞাপন দিয়েছিল ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জনসংযোগ শাখা। আর এখানেই ঘটেছে গুরুতর গোলমাল। বিজ্ঞপনী প্রচারে ব্যবহৃত ছবিগুলির মধ্যে রয়েছে চিনের তৈরি জেএফ-১৭ যুদ্ধ বিমানের ছবি। `জয়েন্ট ফাইটার-১৭` নামে পরিচিত এই ফাইটার জেটটি ২০১০ সালে পাকিস্তান বায়ুসেনাকে দিয়েছে বেজিং। বস্তুত, নৌবাহিনীর বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত ছবিতে পাক বায়ুসেনারই একটি জেএফ-১৭ ব্লক ২ মডেলের বিমানের ছবি ছাপা হয়েছে।
রাশিয়ার নির্মীত মিগ-২৯কে, বিএই সি হ্যারিয়ার-সহ নানা যুদ্ধ বিমান রয়েছে ভারতীয় নৌসেনার ঝুলিতে। সেই ছবি অনায়াসেই ব্যবহার করা যেত নৌসেনা দিবসের বিজ্ঞাপনে।
কিন্তু তা সত্ত্বেও কী ভাবে এই ভুল হল, তা নিয়ে নৌবাহিনীর অন্দরে শুরু হয়েছে প্রবল তোলপাড়।
দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের আমলে আগেও বেশ কয়েকবার বিজ্ঞাপন-বিভ্রান্তির ঘটনা ঘটেছে। গত বছর মার্চ মাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন রেলমন্ত্রকের একটি বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত মানচিত্রে রাজধানী দিল্লি-সহ ভারতের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ শহরকে পাকিস্তানের ভৌগলিক পরিসীমায় অন্তর্ভুক্ত বলে দেখানো হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তুমুল বিতর্কের মুখে বিজ্ঞাপনটি বাতিল করা হয়।
এই ঘটনার ঠিক দু`মাস আগে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের একটি বিজ্ঞাপনী চিত্রে কপিল দেব, বীরেন্দ্র সেওয়াগ, উস্তাদ আমজাদ আলি খান, লতা মঙ্গেশকরের পাশাপাশি `কৃতি ভারতীয়' হিসেবে ছাপা হয়েছি পাকিস্তান বিমানবাহিনীর প্রাক্তন প্রধান তনভির মেহমুদ আহমেদের ছবি।