মাছিল মিথ্যে এনকাউন্টার মামলা: যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ৭ ভারতীয় সেনার

২০১০ সালে জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলায় মিথ্যে এনকাউন্টারে জড়িত থাকার অপরাধে ২ আধিকারিক সহ ৭ জন সেনাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল ভারতীয় সেনা আদালত। এই ৭ জন কোনওরকম সার্ভিস বেনিফিট পাবেন না।  

Updated By: Nov 13, 2014, 12:54 PM IST
 মাছিল মিথ্যে এনকাউন্টার মামলা: যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ৭ ভারতীয় সেনার

শ্রীনগর: ২০১০ সালে জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলায় মিথ্যে এনকাউন্টারে জড়িত থাকার অপরাধে ২ আধিকারিক সহ ৭ জন সেনাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল ভারতীয় সেনা আদালত। এই ৭ জন কোনওরকম সার্ভিস বেনিফিট পাবেন না।  

২০১০ সালের ৩০ এপ্রিল শাহজাদ আহমেদ খান, মহম্মদ শাফি লোন ও রিয়াজ আহমেদ লোন নামের ৩ ব্যক্তিকে সেনা বাহিনীতে কুলির কাজ দেওয়ার লোভ দেখায়  কিছু ব্যক্তি। সোপোরের বাসিন্দা এই তিনজনকে এই কাজের জন্য মোটা টাকার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়। মাছিল পৌঁছাবার পর সেনা বাহিনীর হাতে তাঁদের তুলে দেওয়া হয়। অনুপ্রবেশকারী তকমা দিয়ে মিথ্যে এনকাউন্টারে এই তিনজনকে খুন করে কিছু ভারতীয় সেনা।  

এই তিনজনের মৃত্যুকে ঘিরে গোটা কাশ্মীর উপত্যকায় তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।  ২০১০ সালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে ওঠে জম্মু-কাশ্মীর। সেনার সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে প্রাণ হারান ১২০ জন।

২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ভারতীয় সেনা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে নিজেদেরই একজন কর্নেল ও এক মেজর সহ ছ'জনের বিরুদ্ধে কোর্ট মার্টালের সিদ্ধান্ত নেয়।

সোপোরের স্থানীয় আদালতে পুলিস স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মিথ্যা এনকাউন্টারের অভিযোগে ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন ৪-রাজপুত-এর কমান্ডিং অফিসার কর্নেল ডিকে পাঠানিয়া, মেজর মোরিয়া ও মেজর উপিন্দর।

সেনা আদালতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে।

 

.