এই ঘটনা এদেশে নতুন নয়। প্রেক্ষাপট এবং পরিণতি বহুল পরিচিত।ভিন্ন ধর্মের প্রেম, পরিবারের অকারণ গোঁড়ামি, আপত্তি এবং শেষ পরিণতি দুটো তাজা প্রাণের অকালে ঝরে যাওয়া। ঠিক এমনটাই ঘটল ত্রিপুরায়। এক মুসলিম তরুণী ও এক হিন্দু যুবক পরিবারের সামাজিক-ধর্মীয় ট্যাবুর বিরুদ্ধে নিজেদের প্রেমকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারল না। আত্মহত্যার অন্ধকারেই হারিয়ে গেল তাঁদের প্রেম।

পুলিস জানিয়েছে ত্রিপুরার তারানগর গ্রামের ২১ বছরের নাতাশা মোহনপুরের স্বামী বিবেকানন্দ কলেজের দ্বিতীয়বর্ষের ছাত্রী ছিল। নাতাশা ভালবাসত বছর ২৫-এর প্রতিবেশী সঞ্জীব দাসকে। সঞ্জীব পেশায় ড্রাইভার। কিন্তু নাতাশা-সঞ্জীবের প্রেম মেনে নেয়নি তাঁদের দু`জনের পরিবারই। ধর্মের দোহাই দিয়ে তীব্র বিরোধিতা করেছে তাঁদের।

পরিবারের সঙ্গে রোজকার ঝামেলার মানসিক চাপ নিতে পারেননি সঞ্জীব। গত সপ্তাহের শুক্রবার নাতাশার বাড়ির কাছে একটি গাছে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে সে। মৃত্যুর আগে নাতাশার মোবাইলে একটি ম্যাসেজ করে গিয়েছিলেন তিনি।

শুক্রবার গভীররাতে শৌচাগারে যাওয়ার নাম করে মাকে বলে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসে নাতাশা। কিন্তু একঘণ্টা পরেও মেয়ে ফিরে না আসায় বাইরে বেড়িয়ে এসে নাতাশার মা বাড়ির কাছে বাঁশ বাগানের কাছে অগ্নিদ্বগ্ধ অবস্থায় মেয়েকে খুঁজে পান।

নাতাশাকে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ৯০% দগ্ধ অবস্থায় শনিবার রাতে মারা যান নাতাশা। মৃত্যুর আগে পুলিসকে তিনি বলে গেছেন ``আমার সবচেয়ে ভালবাসার জন আমাকে ছেড়ে চলে গেছে।``

পুলিস তদন্ত চালাচ্ছে।

English Title: 
Lovers commit suicide in Tripura after family disapproval
Home Title: 

ধর্মের দোহাই দিয়ে পরিবার মেনে নেয়নি প্রেমের সম্পর্ক, ত্রিপুরায় আত্মঘাতী প্রেমিকযুগল

No
19410
Is Blog?: 
No
Section: